Monday, August 28, 2006

কান্না পাচ্ছে!

সকাল বেলা খবর পেলাম আমার এক এক্স কলিগ মারা গেছে। প্রেগন্যান্ট ছিল সে, সেকেন্ড ইস্যু অক্টোবরে ডিউ। খিচুনি হচ্ছিল বলে ক্লিনিক থেকে ক্লিনিকে স্থানান্তর। শেষ ক্লিনিকটাতে কোন রকম চেষ্টাই করা হয়নি। এমনকি শুধু বাচ্চাটাকে বাচানোর কথাও তাদের মনে হয়নি। তার গাইনোকলজিষ্ট (খুবই নাম করা একজন) এভেইলেবল ছিলেন না। এই হচ্ছে আমাদের দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা। কার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনবে তার পরিবার?

ছোট একটি ফ্যামিলি ছিল তাদের। স্বামী-স্ত্রী দুজনই চাকুরে। একটি অপুর্ব কন্যা প্রায় আমার মেয়ের বয়সী। আমার পাশের কিউবিকলে বসত সে। প্রায় প্রতিদিনই বাচ্চার খবর আদান প্রদান হতো। বছর আড়াই বাচ্চাটির চেহারা মনে পরলেই কান্না পাচ্ছে।

Friday, August 18, 2006

সবচেয়ে সুন্দর কুৎসিত মেয়ে

জার্মান টিভিতে এই চেহারা দেখে আতকে উঠেছিলাম। একি ভারতীয় জাসি এখানে কি করছে? কয়েকদিন ফলো করে বুঝলাম সেই সোপ অপেরা, সেই বস, সেই বুদ্ধিমতী সেক্রেটারী । না শুধু ভারত বা জার্মানী নয়, বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে এই সোপ অপেরাটির ভার্সন রয়েছে। Yo soy Betty, la fea ("I am Betty, the Ugly One") হচ্ছে মূল গল্পটি যেটি কলাম্বিয়াতে 1999-2001 সাল পর্যন্ত জনপ্রিয় সিরিজ ছিল। এই বেটিই দেশভেদে লোটে, বেটি, লেটি, লিসা বা জাসি। চেহারার কি মিল দেখেছেন কি? একেবারে কপিক্যাট। এর নিন্মোক্ত ভার্সনগুলো হয়েছে :* ডাচ - লোটে - তালপা টিভি* আমেরিকা - আগলি বেটি - এবিসি * রাশিয়া - নে রদিশ ক্রাসিভয় - আমেদিয়া ফিল্ম ঁ* মেক্সিকো - লা ফেয়া মা বেলা -এসমাস* জার্মানী - ফেরলিবট ইন বার্লিন - সাট আইনস* ভারত - জাসি যায়সি কই নেহি - সনি টিভি

Tuesday, August 15, 2006

পথে পথে (৩) : উত্তরের ভেনিসে

ব্রুজ বা ব্রুগগেকে (French: Bruges, Dutch: Brugge) বলা হয় উত্তরের ভেনিস। ব্রাসেলস থেকে ১২০ কিমি দুরের ইউরোপের অন্যতম সুন্দর শহরটিতে যেতে লাগলো এক ঘন্টারও কম । ১৩৮ বর্গ কিমির শহরটিতে লোক সংখা মাত্র ১ লাখ।

উত্তর সাগর সেখান থেকে খুব কাছে এবং খালের মাধ্যমে সংযুক্ত । শহরটিতে লোকবসতি হাজার বছরেরও আগে থেকে এবং ব্রিটেনের সাথে বানিজ্যের একটি গুরুত্বপুর্ন বন্দর হিসাবে প্রসিদ্ধ ছিল । ১৭শ খ্রীস্টাব্দের শেষের দিকে উত্তর সাগরের প্রান্তে আরও বন্দর তৈরি হওয়ায় এই বন্দরের গুরুত্ব আস্তে আস্তে কমে যেতে থাকে । ১৮শ খ্রীস্টাব্দের শেষের দিকে লোক বসতি কমে যাওয়ায় এর নামকরন করা হয় মৃত ব্রুজ 'Bruges-la-Morte' । এই শহরের মধ্যযুগীয় স্থাপত্যগুলো লতাগুল্ম দিয়ে ঢেকে যায় । কিন্তু এটিই বাচিয়ে দেয় শহরটিকে । দ্্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় উত্তর ইউরোপের অনেক শহর বোমায় ধ্বংশ হয় । কিন্তু লতাগুল্মের জন্য ব্রুজ শহরটিকে উপর থেকে জঙলের মত লাগায় এতে কোন বোমা পরেনি ।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আবার শহরটি জনবসতিপুর্ন হয় ও একে একটি পর্যটন শহর হিসাবে গড়ে তোলা হয় । এটি ইউনেস্কোর World heritage site এর অন্তর্ভুক্ত। এখানে কি পরিমান পর্যটক আসে তা টের পেলাম গাড়ী পার্কিং করার সময় । মাটির নীচে চার তলা পার্কিং স্পেসে মনে হয় প্রতি তলায় হাজারের মত গাড়ী ধরে । খালি যায়গা খুজতে লাগল ২৫ মিনিট ।

আবহাওয়া আমাদের সাথে সকাল থেকেই মসকরা করছিল । এই বৃষ্টি তো এই রোদ । এর মধ্যেই আমাদের ব্রুজ অভিযান শুরু হলো । সারি সারি মধ্যযুগীয় পুরোনো বাড়ী ও পুরোন ঢাকার মতো চিপা গলি । রাস্তা তৈরি পাথরের টালি দিয়ে। বলাই বাহুল্য টুরিস্টরা গিজ গিজ করছে এবং অনেকেরই হাতে গরম ওয়াফল , এখানকার জনপ্রিয় খাবার।
অনেক বাড়ীর নিচের তলা টুরিস্টদের মনোরনজনের জন্যে বিবিধ দোকান ও রেষ্টুরেন্টে রুপান্তরিত হয়েছে । তবে উপরের তলাগুলোতে ব্রুজবাসীদের বসতি রয়েছে। প্রায় প্রতিটি বাড়িতে তৈরির সাল লেখা রয়েছে, কোনটি ১৬শ খ্রীস্টাব্দে কোনটি ১৭শ খ্রীস্টাব্দে তৈরি। শহরের মধ্যে দিয়ে চলে যাওয়া খালগুলোর পাড়ে ভেনিসের আদলে অপুর্ব দালান উঠে গেছে । সময়ের অভাবে বোট রাইডে ওঠা হলো না ।

ব্রুজে দেখার মতো অনেক কিছুই আছে । চার্চ অফ আওয়ার লেডিতে মাইকেল এনজেলোর Madonna and Child ভাস্কর্যটি আছে যা ১৫০৪ সালে তৈরি হয়েছিল । এছাড়াও মধ্যযুগীয় ফ্লেমিশ পেইন্টিং ও ভাস্কর্যের মিউজিয়াম রয়েছে । শহরের মধ্যে দিয়ে হেটে যাওয়াটাই অদ্ভুত রোমনচের জন্ম দেয় । অনেকখানেই ঘোড়ার গাড়ি ছাড়া বাহন নেই, মনে হয় মধ্য যুগে আছি ।

বেলজিয়াম প্রসিদ্ধ তার 'লেস' এর কাজ এবং চকলেটের জন্য । স্যুভেনির হিসাবে উভয়ই মন্দ নয় । ফ্যাক্টরি ও দোকান উভয়ই আছে এখানে ।

বেশ বড় এই শহরটিতে ভ্রমনের ভালো উপায় হচ্ছে সাইকেল ভাড়া করে নেয়া । অনেক কিছুই দেখা হলো না ফিরে যেতে হবে বলে। ব্রাসেলসে যে দেশীয় আতিথেয়তা (দুপুরের খাবার) অপেক্ষা করছে । (চলবে)

পথে পথে (২): ব্রাসেলস শহর

বেলজিয়ামকে বলা হয় 'ককপিট অফ ইউরোপ' । প্রায় 1 কোটি লোকের বাস এই দেশে । ৬০% লোকের ভাষা ডাচ (ওদের ভাষায় ফ্লেমিশ) এবং ৩৫% লোকের ভাষা ফ্রেনচ । মধ্যযুগে (১৫৭৯-১৮১৫) এটি দক্ষিন নেদারল্যান্ডস নামে প্রসিদ্ধ ছিল এবং স্পেন, অস্ট্রিয়া এবং ফ্রানসের শাষনাধীন ছিল । ১৮৩০ সালে বেলজিয়াম রেভলুশনের মাধ্যমে স্বাধীন বেলজিয়ামের জন্ম । বেলজিয়ামে সাংবিধানিক রাজতন্ত্র এবং সংসদীয় গনতন্ত্র রয়েছে ।

মধ্যযুগ থেকেই এর বর্তমান রাজধানী ব্রাসেলস শহর ব্যবসা বানিজ্যের জন্য প্রসিদ্ধ ছিল । নেটো, ইরোপিয়ান ইউনিয়ন ইত্যাদি সংস্থার সদর দফতর থাকায় বর্তমানেও ব্রাসেলস ইউরোপের একটি গুরুতপুর্ন শহর ।

আমরা পৌছেছি রাত 8টার দিকে । হাত মুখ ধুয়ে পেট পুজো করার পরে ছুটলাম রাতের ব্রাসেলস দেখতে। একে একে দেখা হলো রাজার অফিস, রাজার চার্চ , গ্র প্লাস ও পুরোন মার্কেট (Grand' Place-Grote Markt) এবং ম্যানেকেন পি । এটা আসলে প্রাকৃতিক কার্য সম্পাদনরত একটি ছোট ছেলের মুর্তি । জনশ্রুতি রয়েছে যে ছেলেটি প্রস্রাব করে ব্রাসেলস দখলকারী সৈন্যদের গোলাবারুদ ভিজিয়ে দিয়ে শহরটি রক্ষা করে। ব্রাসেলস শহরে এই ছেলের শত শত মুর্তি আছে । শীতকালে এই ছেলের মুর্তিটি বিয়ার প্রস্রাব করে এবং লোক 5 ইউরো দিয়ে তা কিনে খায় ।

গ্র প্লাসে রাতে প্যালেসের দেয়ালে আলোক ও সঙীত সহকারে একটি শো হয় যা সত্যিই অপুর্ব । তার পরে দেখতে গেলাম এটমিয়াম যাকে পৃথিবীর সবচেয়ে আশ্চর্যজনক স্থাপত্য বলা হয়। রাতে এটিকে অনুর বিভিন্ন মলেকিউলস এর মতই দেখা যায় (ছবি দ্রষ্টব্য)।

তারপর দেখতে গেলাম ইউরোপিয়ান কমিশনের অফিস । আমাদের দেশের মত এত সিকিউরিটি নেই । আশে পাশে কোন পুলিশ দেখলাম না ।

রাত একটার দিকে ক্লান্ত দেহে বাসায় প্রত্যাবর্তন । পরবর্তী দিনে বেলজিয়াম ও নেদারল্যান্ডসের বিভিন্ন অনচল ভ্রমনের স্বপ্ন নিয়ে অবশেষে নিদ্রায় মগ্ন হলাম সবাই । (চলবে)

পথে পথে (১): গন্তব্য বেলজিয়াম

ভ্রমনটা আসন্নই ছিল কিন্তু ছিলনা প্রস্তুতি। শেষ মুহুর্তে আমাদের ম্যাপ রিডিংয়ের ক্ষমতার উপর ভরসা না করে সিনিয়র ভাই একটি নেভিগেশন সিস্টেম কিনলেন । এটির মিষ্টি কনঠের জন্যে নাম দেয়া হলো আপাজান ।

অবশেষে আপাজানের হাতে আমাদের ভবিষ্যত ছেড়ে দিয়ে আমরা তিন ভাই ও এক ভাতিজা বার্লিন থেকে রওনা হলাম স্থলপথে বেলজিয়ামের দিকে । জার্মানির অটোবান বা হাইওয়ে প্রসিদ্ধ বাধাহীন স্পীডের জন্যে । আমরা 150-200 কিমি (ঘন্টাপ্রতি) জোরে চালানোর পরও দেখা গেল বেশ কিছু গাড়ী আমাদের ফেলে চলে যাচ্ছে । এখন গ্রীস্মের শেষ পর্যায় তাই ল্যান্ডস্কেপে বেশ পরিবর্তন দেখতে পেলাম । আগের দেখা দিগন্ত জুড়ে সরিষা ফুল ও ঘাসের অপুর্ব রংয়ের ছোপ তার পর গ্রাম জুড়ে বিভিন্ন একক বাড়ী ও গাছপালার চমৎকার্র কম্পোজিশন এবার দেখা গেল না । বিস্তীর্ন প্রান্তর জুড়ে ফসল কাটার পর ম্যার মেরে ন্যাড়া ক্ষেত ।

আপাজান বলছেন 767 কিমি গন্তব্য 8 ঘন্টার মতো লাগবে । লম্বা হাইওয়ে বেশ বিরক্তিকর । তাড়াহুড়োতে সঙীত আনতে ভুলে গিয়েছি। পথের সঙী তাই সবেধন নীলমনি মান্না দের সিডি । সাথে ম্যারাথন আড্ডা ও পিছনের সিটে নাসিকা গর্জনে বিশ্রাম। বিকেলের দিকে আপাজানের বিরক্তির উদ্রেক করে ডুসেলডর্ফ শহরে যাত্রাবিরতি । উদ্দেশ্য আমাদের এবং বাহনের পেটপুজো ।

নেভিগেশন সিষ্টেম আমাদের ঠিকই নানান অলিগলি দিয়ে আবার হাইওয়েতে নিয়ে গেল । কিন্তু আমরা বুঝতে পারছিলাম না যে আমরা মোটামুটি কানা হয়ে আছি । ব্যাপারটা টের পাওয়া গেল কিছু সময় পর । রাস্তার সাইনবোর্ড পরিবর্তন হওয়ায় বুঝলাম আমরা জার্মানীর বর্ডার পার হয়েছি । ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের বর্ডারলেস কান্ট্রির মাহাত্য বুঝলাম । কোন থামাথামি নাই। ইমিগ্রেশন, পাসপোর্টে সিল ইত্যাদির ঝামেলা নেই । আমাদের দেশে এক শহর থেকে আরেক শহরে যেতেও খোদা হাফেজ, স্বাগতম ইত্যাদি লেখা থাকে । এক্ষেত্রে বর্ডারের কাছাকাছি পথে ছোট করে ডাচ ভাষায় কিছু লেখা ছিল যা আমরা মিস করেছি। এদিকে বেলজিয়ামেও ডাচ ভাষার ব্যবহার রয়েছে।

এরপর শুরু হলো আমাদের চিন্তা আমরা ঠিক কোন দেশে আছি এখন । জার্মানির বর্ডারে দুটি দেশ এবং বেশ কতগুলো রাস্তা কাছাকাছি । আমাদের হিসাব মতে আমাদের বেলজিয়ামে ঢোকার কথা । কিন্তু মোবাইলে আমরা নেদারল্যান্ডের সিগনাল পাচ্ছি । কোন রাস্তা দিয়ে যাচ্ছি তা বের করার ব্যর্থ চেষ্টা করে আপাজানের হাতে নিজেদের সপে দিলাম । কিছুক্ষন পর আমরা বেলজিয়ামে প্রবেশ করলাম এবং বোঝা গেল আমরা শর্ট কাট নিয়েছিলাম নেদারল্যান্ড হয়ে ।

বেলজিয়ামের ল্যান্ডস্কেপ জার্মানী থেকে বেশ আলাদা । মাঠে গরু এবং ঘোড়ার অবাধ বিচরন । গ্রামের বাড়ীগুলোর কাঠামো একটু ভিন্ন এবং অতটা রংয়ের ব্যবহার নেই । যতই ব্রাসেলসের দিকে আসতে থাকলাম ততই বৃষ্টি বাড়তে লাগলো । এখানকার হাইওয়েতে বাতি রয়েছে যা জার্মানি বা নেদারল্যান্ডসে নেই । আমরা ইতিমধ্যেই জার্মানীর রাস্তায় গাড়ী চালিয়ে করাপটেড তাই বামের লেন ফাকা পেয়ে 150-160 কিমি বেগে গিয়েছি । পরে শুনলাম ওদের হাইওয়ের সর্বোচ্চ স্পিড লিমিট 120 এবং বামের রাস্তাটি ইমার্জেনসির জন্যে ফাকা রাখতে হয় । ভাগ্য ভালো পুলিশের ঝামেলায় পরিনি ।

ব্রাসেলস শহরে গিয়ে আপাজানের মাথা খারাপ হয়ে গেল । ওখানে বেশ কিছু টানেল । এবং টানেলের মধ্যে জিপিএস সিগনাল যায়না (রিপিটার নেই) । প্রতিবার টানেলের মধ্যে থেকে বের হয়েই সে অনেক ডিরেকশন দেয়া শুরু করল । রাস্তার মাঝ খানে বলে make a u turn now । পরে বুঝলাম ব্রাসেলসের কিছু অংশের ডিটেইলস তার ম্যাপে নাই। অত:পর তাকে রেস্ট দিয়ে দুরালাপনের আশ্রয় নিয়ে গন্তব্য স্থলে আগমন। (চলবে)

Wednesday, August 09, 2006

ঘরে ফেরার ডাক


প্রবাসী ডাক্তার রুমীর কল্যানে আমার একটি ভিডিও দেখা হলো। ভিডিওটি তৈরি করিয়েছেন স্কোয়ার গ্রুপের তপন চৌধুরি আমেরিকায় অবস্থিত বাংলাদেশী ডাক্তারদের জন্য । প্রবাসীদের দেশে উপযুক্ত কর্মসংস্থান নিয়ে ফিরে আসার জন্য আকুতি আছে এই ভিডিও ক্লিপটিতে । মন খারাপ হয়ে যায় ভিডিওটি দেখলে । এটি দেখে স্থায়ীভাবে বিদেশে বসবাসরত কোন বাংলাদেশী কি ভবিষ্যতে দেশে ফিরে আশার সিদ্ধান্ত নেবে?

লিংক

Monday, August 07, 2006

বাংলাদেশী জাতীয়তা: বৈষম্যভিত্তিক আইন

বাংলাদেশী জাতীয়তা সংক্রান্ত একটি বৈষম্যমুলক আইন বিদ্যমান এখনও এদেশে ।

একজন বাংলাদেশী পাসপোর্ট হোলডার বাংলাদেশী ভদ্রলোক যদি একজন বিদেশিনীকে বিয়ে করেন তবে সেই স্ত্রী এবং ওনার বিদেশে হওয়া যে কোন সন্তান স্বাভাবিকভাবেই বাংলাদেশী নাগরিকত্ব পাবেন ।

কিন্তু পাসপোর্ট হোলডার যদি মহিলা হন তাহলেই বাধবে গোল । তিনি তার নাগরিকত্ব তার সন্তান বা জামাইকে transmit করতে পারবেন না । কি ভয়নকর? বাংলাদেশী মহিলার সন্তান বাংলাদেশী হতে পারবে না বাবা অন্য দেশের বলে । বাংলাদেশে বার্থ সিটিজেনশীপ আইন সঠিক কিরকম জানিনা তবে শুনেছি সেইক্ষেত্রেও বাবার জাতীয়তা গুরুত্ব পুর্ন ।

কিরকম পিতৃতান্ত্রিক আইন ভেবে দেখেছেন?

হামিদা হোসেইন এক সেমিনারে বলেছেন:

The Bangladesh Citizenship Act, 1951 and The Bangladesh Citizenship (Temporary Provisions) Order 1972, deprive women of equal rights in citizenship. The prescription that the right of citizenship be passed on to children from father and grandfather is clearly inconsistent with constitutional guarantees of equality in Article 28(1 & 2). Although Article 6 of the Constitution states that citizenship will be determined and regulated by law, but its intention cannot be to create different classes of citizenship.