Tuesday, July 24, 2007

ড্রেসডেন: সংস্কৃতির প্রানকেন্দ্র

বার্লিন থেকে মাত্র ২০০ কিমি দুরে অবস্থিত জার্মানীর পুবের সাংস্কৃতিক শহর ড্রেসডেন গত বছর ৮০০ বছর পুর্তি পালন করেছে। স্যাক্সোনীর রাজাদের এটি রাজধানী ছিল বলে সপ্তদশ ও অস্টদশ শতাব্দীতে স্থাপত্য ও কলায় এটি অনেক প্রাচুর্য লাভ করে। ব্যারোক আর্কিটেকচারে নির্মিত অনেক পুরনো স্থাপত্য ছিল এই শহরটিতে যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় বোমার আঘাতে ধ্বংস হয়ে যায়। এগুলোর অনেকগুলোই এখন পূন:র্নির্মিত হচ্ছে। এই যেমন গত বছর নামকরা ফ্রাউয়েনকির্শে ("Church of Our Lady") মেরামতের পর আবার জনগনের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে।

রাজা অগাস্ট দ্যা স্ট্রন্গের (ফ্রেডেরিক অগাস্টাস ১৬৭০ -১৭৩৩) আমলে এ শহরটি ইউরোপীয় সংস্কৃতির পাদপীঠ হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। তার ছেলে অগাস্ট দ্য থার্ড ৎসুইঙার (Zwinger) প্যালেসে তার নিজস্ব গ্যালেরির জন্য প্রচুর পেইন্টিংস কেনেন অঠারো শতকের মাঝামাঝি সময় যা ইউরোপ জুড়ে পরিচিতি লাভ করে। রাফায়েলের সিস্টিন ম্যাডোনার মত চিত্রকর্ম তিনি কিনেছিলেন গোটা একটি প্যালেসের মুল্য দিয়ে।

পরবর্তীতে (১৭৮৯ সালে) মোৎসার্ট প্রুসিয়ার রাজা ফ্রেডেরিক টুর রাজপ্রাসাদে কোর্ট মিউজিশিয়ান হিসেবে চাকরি নেন এই ড্রেসডেনেই। আরেক নামকরা সঙীতজ্ঞ কার্ল মরিয়া ফন ওয়েবারও ড্রেসডেনেই তার শিল্পী জীবনের অধিকাংশ কাটান। ১৮৪১ সালে নির্মিত এখানকার সেমপার অপেরা হাউস বিশ্বজুড়ে বিখ্যাত।

আমি ড্রেসডেনে গিয়েছি বেশ কয়েকবার কিন্তু প্রতিবারই দিনে দিনে ফিরে আসতে হয়েছে। তাই অনেককিছু দেখার ইচ্ছা থাকলেও হয়ে উঠেনি। এমাসের প্রথমদিকে যখন আবার গেলাম তখন গো ধরেছিলাম আর কেউ সঙে থাকুক বা না থাকুক আমি ৎসুইঙার প্যালেসে অবস্থিত ওল্ড মাস্টারস গ্যালারি দেখব। এখানে রয়েছে রেনেসাঁ থেকে ব্যারোক আমল পর্যন্ত ইটালীয়, জার্মান, স্পানিশ, ডাচ, ফ্লেমিশ, অস্ট্রিয়ান এবং গ্রীক মাস্টারদের ৭০০ নাম করা পেইন্টিংস যা অবিশ্বাস্য ভাবে বেচে গিয়েছিল বোমা থেকে।

এই বোমার কথা বার বারে আসছে কারন ফেব্রুয়ারী ১৩, ১৯৪৫ সালে এলাইড ফোর্স প্রতিরোধহীন এই জার্মান শহরটিতে ১৪ ঘন্টা ধরে অগ্নিবোমা মারে যাতে প্রায় পাঁচ লাখ লোক মারা যায় এবং ড্রেসডেন শহর অনেকাংশেই ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। ৭ লাখ ফসফরাস বোমা ফেলা হয় ১২ লাখ লোকের উপর এবং এটি ড্রেসডেন হলোকাস্ট নামে পরিচিত। জার্মান কবি কুর্ট ভনেঘট লিখছেন:

" তোমরা শহরটিকে পুড়িয়ে ফেলেছো, একটি অগ্নিকুন্ড পরিনত করেছো। এই অগ্নিকুন্ড যত জীবন নিয়েছে তা হিরোশিমা এবং নাগাশাকি দুটোর হতভাগ্যদের চেয়েও বেশী।"

এখন আসি আর্ট গ্যালারির কথায়। পেইন্টিংগুলো বেঁচে গিয়েছিল কারন ওগুলো মাটির নীচের (সেলারের) গুদামে রাখা ছিল। পরবর্তীতে রাশিয়ানরা এই চিত্রকর্মগুলো মস্কো নিয়ে যায়। এবং ১৯৫৫ সালে আবার সেগুলোকে ড্রেসডেনে ফেরত দেয়া হয়।

গ্যালারিতে ঢুকেই এর বিশালত্ব দেখে চমৎকৃত হলাম। কোন কোন পেইন্টিং পুরো দেয়াল জুড়ে। দর্শকদের আগ্রহ রাফায়েলের সিস্টিন ম্যাডোনার দিকে থাকলেও ক্যানেলেটো এং বেলেট্টোর (তার শিষ্য) আকা ড্রেসডেনের বিশাল পোর্ট্রেটগুলো বেশ ভালো লাগলো। রাজা অগাস্ট তাদের ভেনিস থেকে আমন্ত্রন করে নিয়ে এসেছিলেন এবং বছর খানেক রেখেছিলেন এই ছবিগুলোর জন্য। ফলে ড্রেসডেনের সেইসময়কার জাকজমক সম্পর্কে আমরা এত শতাব্দী পরেও জানতে পারছি। একে একে দেখলাম রেম্ব্রান্ট, ড্যুরার, পিটার পল রুবেন্স, বত্তিচেলী, টিটিয়ান, রিবেরা, ক্রানাখ ইত্যাদি নামকরা চিত্রকরদের পেইন্টিংস। এদের অনেকের সাথেই আমার পরিচয় সুনীলের "ছবির দেশে কবিতার দেশে " বইটি থেকে (আমি দুবার কিনেছি বইটি এবং যথারীতি সেগুলো কেউ নিয়ে ফেরত দেয়নি)। সাথের অডিও ট্যুর যন্ত্রটি বেশ কাজের। ছবিগুলোর নম্বর টিপলেই প্লে করছে তার ইতিহাস।

আপনারা এই গ্যালারীর কিছু ছবি এখান থেকে দেখতে পারবেন। এই বছর সবগুলো পেইন্টং নিয়ে একটি ভার্চুয়াল গ্যালারিও লন্চ করা হয়েছে।

আমার তাড়াতাড়ি ফিরে যেতে হলো সবগুলো ছবি না দেখার অতৃপ্তি নিয়েই। আবার আসতে হবে এখানে।

ড্রেসডেনের কিছু ছবি আমার ফ্লিকার থেকে।

(প্যানোরামা ছবি - ড: টরস্টেন হেনিঙসের সৌজন্যে উইকিপিডিয়া থেকে)

Thursday, July 19, 2007

জন্ডারমেন মার্কট এ এক সন্ধ্যা

ইউরোপের অন্যান্য টুরিস্ট অন্চলের থেকে বার্লিন একটু আলাদা কারন এখানে পর্যটন আকর্ষনগুলোতে লোক গিজগিজ করে না। বলাই বাহুল্য কোন উটকো ঝামেলা নেই।

এই যেমন আজ সন্ধ্যাটা কাটালাম (সুর্য ডুবেছে রাত ১০টার দিকে) বার্লিনের সিটি সেন্টারের জন্ডারমেন মার্কট স্কয়ারে। স্কয়ারটির মাঝখানে ১৮২১ সালে নির্মিত কনসার্ট হাউজ। দুই পাশে প্রায় একই রকম দেখতে মত ১৭০০ সালের প্রথমদিকে নির্মিত জার্মান ও ফরাসি ক্যাথিড্রাল। বাধানো চত্বরটির মধ্যিখানে জার্মান কবি শিলারের একটি মুর্তি।

চারদিকে রাস্তা এবং পাশে আধুনিক বাড়ীঘরের মাঝে এটির বিশালতা এক অনন্য আমেজ তৈরি করে দেয়। সবচেয়ে যেটা উল্লেখযোগ্য যে এখানে লাইভ সঙীত বাজানো হয় (ভায়োলিন এবং পিয়ানো)। ব্রাসেলসের সিটি সেন্টার গ্রঁ প্লাসেও লাইভ সঙীত শুনেছি তবে সেটি ছিল লোকের কোলাহলের মাঝ বেশ বাজার বাজার মনে হয়েছিল। কিন্তু জন্ডারমেন মার্কেট এদিক দিয়ে অনন্য।

আজ পশ্চিমা ক্লাসিকাল এবং অণ্যান্য জনপ্রিয় সুর বাজাচ্ছিলেন আন্দ্রে সুর এবং মারিনা গন্টার নামে দুই ভ্রাম্যমান শিল্পী যাদের দলের নাম 'মাসুর ডুও'। লোকজন শুনছিলেন এবং কিছুক্ষনের জন্যে থমকে দাড়াচ্ছিলেন। কিন্তু কখনই তাদের পাশে ভিড় করছিলেন না। আমরাও কনসার্ট হাউজের সিঁড়িতে বসে পড়লাম। কেমন একটি আবহ সৃষ্টি হচ্ছিল। একটি করে সঙীত শেষ হচ্ছিল আর কোনা কোনা থেকে হাততালির আওয়াজ আসছিল। মনোযোগী শ্রোতারা ঠিকই ছিলেন এবং মাঝে মধ্য উদয় হয়ে তারা শিল্পীদের খুচরো পয়সা দিয়ে যাচ্ছিলেন। ফাঁকে ফাঁকে চলছিল তাদের সিডি বিক্রি (এতেই তাদের দিন চলে বোঝা গেল)। ভায়োলিনের সুরের মুর্চ্ছনা ছড়িয়ে পরছিল সমস্ত স্কয়ার জুড়ে। মনে হচ্ছিল সারারাত বসে থাকি।

তারপর তারা ভায়োলিনে ধরলেন কার্লো সান্তানার 'অঁ আরানজুয়ে কন তু আমর' (আরানজুয়েতে তোমার ভালবাসা সহ)। অনেক আগে ইন্সট্রুমেন্টালটি গিটারে শুনে পাগল হয়েছিলাম। আজ হলাম ভায়োলিনে শুনে। অদ্ভুত সেই বাজনা। ভালবাসার আমেজ ছড়িয়ে পড়ল চত্বর জুড়ে। যুগলরা যুথবদ্ধ হয়ে থমকে দাড়াল।

দশটা বাজতেই শিল্পী যুগল পাততারী গোটাতে শুরু করলেন। তাদের একটি সিডি কেনা হলো স্মৃতিটুকু ধরে রাখার জন্যে।

× ডুও মাসুরের সিডি থেকে তিনটি সঙীত পাবেন এখানে

× কার্লো সান্তানার 'অঁ আরানজুয়ে কন তু আমর' শুনুন এখান থেকে

Wednesday, July 18, 2007

বাক স্বাধীনতা: এখনও ব্লগেই সম্ভব

যেমন বিলেতী লেখক স্যামুয়েল জনসন বলেছেন:

"প্রতিটি মানুষের সে যা সত্য মনে করে তা বলার অধিকার আছে। এবং অন্য যে কারো অধিকার আছে তাকে এর জন্যে তাকে ঘুষি মেরে ফেলে দেওয়ার। শহীদ হওয়াটাই আসল পরীক্ষা।"
আমি ব্যক্তিগতভাবে মডারেশনের বিপক্ষে। একজন মডারেটর কিভাবে শ্লীল অশ্লীলের সংজ্ঞা নির্ধারন করবেন? কিছু ব্যাপার থাকে যার সীমানা নির্ধারন করা খুবই কঠিন। এবং যেখানেই মডারেশন সেখানেই অবিবেচক অনেক কিছু ঘটে এবং বলি হতে হয় অনেককে।

ওইওয়ান লাম হংকংয়ের একজন ফ্রিলান্স গবেষক, অনুবাদক এবং সম্পাদক। গত বছর ডিসেম্বরে দিল্লিতে গ্লোবাল ভয়েসেস সম্মেলনে এই শান্ত-শিষ্ট মেয়েটির সাথে অনেক কথা হয়েছিল। সে যে হঠাৎ করে একটি এসটাবলিশমেন্টের বিরুদ্ধে লড়াই ঘোষনা করবে তা আমার কাছে অবিশ্বাস্য মনে হচ্ছে।

ইয়াহু গ্লোবাল মার্কেটে তাদের অবস্থান পাকাপোক্ত করার জন্যে স্থানীয় সরকারের সাথে আঁতাত করে বলেই সবাই জানে। ওরা এক চাইনিজ বিপ্লবির ব্লগ সেল্ফ সেন্সর করেছিল যাতে চায়নিজ সরকার পুরো ইয়াহু ব্যান না করে দেয়। ফ্লিকার হচ্ছে ইয়াহুর কিনে নেওয়া একটি কনসার্ন। আপনাদের অনেকেরই হয়ত জানা নেই যে ফ্লিকারে আপলোড করা কোন কোন ছবি চায়না, সিঙাপুর, হংকং বা জার্মানী ইত্যাদি দেশগুলোর লোক দেখতে পারেন না। কারন ঐসব দেশের নগ্নতা আইন এইসব ওয়েব সাইটে প্রযোজ্য হতে পারে বিধায় ফ্লিকার এইসব ছবি ফিণ্টার করে। আপনার একাউন্ট যদি চায়না, সিঙাপুর, জার্মানী বা কোরিয়ার ইয়াহু সাইট থেকে হয় তাহলে সারা বিশ্বের লোক যা দেখতে পাবে তা হয়ত আপনি দেখতে পারবেন না। এবং এই আইন নিয়েও বহু তর্ক রয়েছে। জার্মান আইনে বলা আছে নগ্ন ছবি দেখা যাবে কিন্তু এইজ ভেরিফিকেশন লাগবে (১৮ বছরের উপরে)। অথচ ফ্লিকার এইজ ভেরিফিকেশন সিস্টেম ব্যবহারের বদলে ঝামেলা এড়ানোর জন্যে ছবিগুলোই সেন্সর করছে।

ওইওয়ানের যুদ্ধ এই বৈষম্যের বিরুদ্ধে। সে একটি সিটিজেন মিডিয়া ওয়েব সাইটে আর্টিস্টিক ন্যুড ছবি পোস্ট করে এর প্রতিবাদ করে। হংকংয়ের নগ্নতা সংক্রান্ত ট্রাইবুনাল তার পোস্টটিকে "ক্লাস টু ইনডিসেন্ট" হিসাবে শেনীভুক্ত করে এবং তাকে অভিযুক্ত করে। অভিযোগ প্রমানিত হলে তার সাজা হবে ৪ লাখ হংকং ডলার ফাইন অথবা ১ বছরের জেল। (বিস্তারিত এখানে)

মনে হচ্ছে কোর্টের লড়াইটি বেশ জমবে। তবে ফ্লিকার পার পেয়ে যাবে বলে মনে হচ্ছে কারন তার রুলসে সে যে কোন ছবি তুলে নেয়ার অধিকার রাখে।

অর্থাৎ বোঝা যাচ্ছে যে বাক স্বাধীনতার কথা আমরা বললেও আসলে এর প্রয়োগ কিন্তু সীমিত। পত্র পত্রিকায় এরকম এক্সপেরিমেন্ট বা ঔধ্যত্ব কল্পনা করা যায় না। একমাত্র ব্লগের জগতেই এটির প্রয়োগ সম্ভব হচ্ছে কিন্তু অথরিটির শ্যেন দৃষ্টি রয়েছে এর উপর। ফ্লিকারের ন্যুড ছবিটি একটি উদাহরন মাত্র। এমন যদি হয় যে বিশে্বর বিভিন্ন সরকারও শুরু করে যে ইন্টারনেট কন্টেন্ট তাদের মর্জিমাফিক সেন্সর করবে দেশের লোকের জন্যে সেটি কি ভয়ানক শাষরুদ্ধকর হবে কল্পনা করেন।

ওইওয়ানের মত অনেক ব্লগাররাই বাক স্বাধীনতার জন্য লড়ুক নির্দিষ্ট ক্ষেত্র। শুভকামনা রইল তাদের প্রতি।

Monday, July 02, 2007

রবীন্দ্র সঙীতে নতুন অনুভব

শাহানা বাজপেয়ীর নতুন অ্যলবামটি "নতুন করে পাব বলে" শুনে খুবই ভাল লেগেছিল। এটি ইদানিং দেশে খুব জনপ্রিয় হয়েছে নাকি শুনেছি। আ্যলবামটি শুনুন এখান থেকে

তরুন বয়সীরা খুব পছন্দ করছে এই এলবামটি। কারন হয়ত শাহানার গায়কী এবং তার স্বামী অর্নবের কম্পোজিশন। দুটোই রবীন্দ্রসঙীতে এক নতুন গতির সন্চার করেছে।

রবীন্দ্র সঙীত নিয়ে এপার বাংলা ওপার বাঙলায় কম গবেষনা হয়নি। অথচ রবীন্দ্রসঙীতের গুরুরা সব সময়ই মৌলবাদী থেকেছেন স্টাইল এবং সুর নিয়ে। স্বাগতালক্ষী দাশগুপ্ত কর্নাটকী এবং স্কটিশ ফোক প্রভাবে দুটি অ্যলবামের জন্য গেয়েছেন। সুমন চৌধুরী অ্যাকুষ্টিক গিটার নিয়ে পুরো অ্যালবামের গান গেয়েছেন। সুদীপ ঘোষ জ্যাজ এফেক্টে ২১টি গান গেয়েছেন। (উৎস)।

অথচ বাঙলাদেশে তেমন গবেষনার পরিমান কম। ৮ বছর আগে ফিডব্যাকের মাকসুদ রবীন্দ্রসঙীত নতুন ভাবে গেয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন ২০১০ সালে ক্লাবের ড্যান্সফ্লোরে রবীন্দ্রসঙীত বাজবে। কিন্তু তিনি খুব সমালোচনার মুখে পরে এ নিয়ে আগে বাড়েননি। তবে এবার শাহানাকে নিয়ে তেমন শোরগোল তোলা হচ্ছেনা। হয়ত শাহানার শান্তিনিকেতনের ব্যাকগ্রাউন্ডের কারনে। কিন্তু আড়ালে অনেকে নাকি বলাবলি করে এটি আসল রবীন্দ্রসঙীত নয়।

শাহানা অবশ্য বলেছেন যে রবীন্দ্রসঙীতের কথা ও সুর নিয়ে গবেষনা করার স্পর্ধা তার নেই। শুধু সুরধ্বণি (sound scape) নিয়েই তার খেলা। (সুত্র)

এখন আপনাদের কাছেই বিচারের ভার আমরা নতুনকে বরন করব না পুরনোকেই আঁকড়ে ধরে বসে থাকব।

(এটি আসিফ সালেহ'র একটি লেখা থেকে অনুপ্রানিত এবং তার থেকে অধিকাংশ তথ্য নেয়া)