Sunday, May 27, 2007

একটি গ্রেফতারকৃত ল্যাপটপ এবং তা নিয়ে মুখরোচক কাহিনী

ব্লগার তাসনীম খলিল গ্রেফতার হওয়ার সময় তার ল্যাপটপ সিজ করা হয়েছিল। সেই ল্যাপটপে কি ছিল তা যৌথ বাহিনী প্রচার মাধ্যমকে না জানালেও সাপ্তাহিক জনতা (নাম প্রথম শুনলাম) এই নিয়ে একটি কাভার স্টোরী করে। (নতুন ধারার) দৈনিক আমাদের সময় আবার সাপ্তাহিক জনতার খবরটির একটি সংক্ষিপ্ত ভার্সন ছাপে। আপনারা পড়েই বুঝবেন যে কিছু ব্যক্তিগত ইমেইল থেকে শেখ হাসিনার ছেলে জয়কে জড়িয়ে একটি কনস্পিরেসী থিউরি খুঁজতেই ব্যস্ত। তবে চেষ্টাটির যুক্তিগত ভিত্তি কতটুকু ছিল তা নিন্মের বিষয়টি থেকেই প্রমান হয়।

পেপার থেকে ফান্ড রেইজিং পর্বটির উদ্ধৃতি:

"জনৈক আসিফ সালেহ খলিলকে লিখেন, "যে ফান্ড যোগার করেছি তা নিরাপদেই আছে। এখন কিভাবে তোমার হাতে পৌঁছাই তা জানাও। ৮মে তাসনিম লিখেছেন, তুমি ওয়েস্টার্ন ইউনিয়নের মাধ্যমে নাঈম মোহাইমেনের কাছে পাঠাতে পার। 'আই এম প্রিটি মাচ আন্ডার সার্ভিলেন্স'। আমি তহবিল পেলে মোহম্মদপুরের লোকদের হাতে পৌঁছে দেব।"

মানবাধিকার সংগঠন দৃষ্টিপাতের আসিফ সালেহ ও নাঈম মোহাইমেন আজ দৈনিক আমাদের সময়ে একটি প্রতিবাদলিপি পাঠালে ব্যাপারটি স্পষ্ট হয়।

২০০৭ সালের ১০ই এপ্রিল মধুপুরে নিহত আদিবাসী নেতা চলেশ রিছিলের জন্যে দৃষ্টিপাত তহবিল সংগ্রহের আবেদন জানায়। সংগৃহিত ২৫,০০০ টাকা চলেশ রিছিলের পরিবারের কাছে পাঠানোর জন্যে তাসনিমের সাথে যোগাযোগ করা হয়। আপনারা হয়ত ইতিমধ্যেই দেখছেন যে মধুপুরকে মোহাম্মদপুর বলে রিপোর্টটিকে অন্য উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়েছে।

এখন উপরের ঘটনার পরিপ্রক্ষিতে আমার কয়েকটি প্রশ্ন রয়েছে।

১) ল্যাপটপের তথ্যগুলো কি যৌথবাহিনীর নির্দেশে প্রকাশিত হয়েছে? হলে শুধু একটি পত্রিকাতে কেন?
২) যদি না হয় এবং এর বিষয়বস্তু কিছুটাও যদি সত্যিই হয় তবে এটি সামরিক গোপনীয় তদন্তের বিষয় তা বাইরে এল কি করে? মূল রিপোর্টে তারা ল্যাপটপের তথ্য পাবার কি সুত্র দিয়েছেন?
৩) তাহলে কি সজীব জয়ের সাথে ইমেইলে যোগাযোগ ই তাসনিম কে গ্রফতারের কারন?
৪) কয়েকটি ইমেইলের কথার সুত্র খোঁজা হয়েছে কল্পনার ফানুশ মেলে। একটি দায়িত্বপুর্ন ইনভেস্টিগটিভ রিপোর্টে বিষয়গুলোর ফ্যাক্ট চেক করা দরকার আলোচিত ব্যক্তিদের সাথে ব্যক্তিগত যোগাযোগ করে এবং রিপোর্টে তাদের প্রতিক্রিয়া উল্লেখ করা দরকার। নাহলেতো সেটা একপেশে প্রপাগান্ডা হয়ে যায়।

তাই সাপ্তাহিক জনতার রিপোর্টটি বিশেষ কোন উদ্দেশ্যে প্রপাগান্ডাই ছিল প্রতীয়মান হয়।

1 comment:

Anonymous said...
This comment has been removed by a blog administrator.