হিজবুত তাহরীর কি পরবর্তী ঘাতক?
জেএমবির ৬ কর্তাকে ফাসিতে চড়ানো হলো বেশ চুপিসারে। তারপর আজকে থেকে দেশব্যাপি সতর্কাবস্থা, যদি কোন জঙী প্রতিশোধ নিতে চায়। কিন্তু সব ছাপিয়ে আরেক আশনকার জন্ম দিয়েছে। আজ গ্রেফতার হলো হিজবুত তাহিরের ২২ জন সদস্য। টিভি ফুটেজে দেখা গেল টিন এজার কিছু ছেলে জেলের মধ্যে বসে হাসাহাসি করছে। তারা দেখতে নাগরিক, আমার আপনার ছোট ভাইটির মতই। তাদের কাছে পাওয়া গেল ইরাক যুদ্ধের ভিডিও, বইপত্রাদি এবং পোস্টার যাতে বলা আছে:
"আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির আমেরিকা ও ভারত প্রীতির কারনেই দেশের আজ এই অবস্থা।" এক পুলিশ অফিসার বলল এদের মতাদর্শের সাথে জেএমবির কিছু মিল আছে।
হিজবুত তাহরির আন্তর্জাতিক একটি ছাত্র সংগঠন। বাংলাদেশে কয়েকবছর আগে এটি চালু হয় এবং এর মধ্যেই নামকরা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলের মেধাবী ছাত্রদের উপর তারা প্রভাব বিসতার করতে সক্ষম হয় (উৎস) । তাদের ওয়েবসাইটটি দেখুন। বাংলাদেশের যে কোন বড় পলিটিকাল পার্টির ওয়েবসাইট থেকে এটি সমৃদ্ধ এবং আপডেটেড।
কিন্তু সমস্যা অন্যখানে। এটির 'ইসলামি ইসতেহার' অনুযায়ী গত ১৬ বছরের সরকারকে তারা ব্যর্থ গনতন্ত্র হিসাবে অভিহিত করে বাংলাদেশে শরিয়া আইন কায়েমের মাধ্যমে একটি খলিফা রাজ্য (ক্যালিফেট) প্রতিষ্ঠা করতে চায়। তারা বিদেশীদের কোন অংশীদারিত্ব বা বিনিয়োগ চায়না এবং যে কোন মুল্যে তা রুখতে প্রস্তুত। তাদের চীফ মহিউদ্দিন আহমেদ বলেছেন তারা বাংলাদেশে ইসলামী রাস্ট্র প্রতিষ্ঠা করবেন নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন করে।
ুকছুদিন আগে হিজবুত তাহরিরের চার সদস্য বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রকাশ্যে প্রচারনা চালানোর জন্যে জরুরী আইনে গ্রেফতার হয়েছে।
হিজবুত তাহরীর পৃথিবীর অনেক দেশেই ব্যনড। জার্মানীতে সহিংস প্রচারনার জন্যে তারা ২০০৩ সালে ব্যন হয়।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে তাদের ইসতেহার এবং কর্মকান্ড বাংলাদেশে তাদের ব্যন হওয়ার জন্যে যথেস্ট নয়কি? তাদের নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের স্বরুপ জানতে ইচ্ছে করছে।
1 comment:
আমিও আপনার মতো হিজবুতের কর্মকান্ড ও মূল লক্ষ্য নিয়ে আগ্রহী।
দয়া করে আরো কিছু জানলে আমাদের সাথে শেয়ার করলে উপকৃত হবো।
Post a Comment