জুটি
ব্যপারটা শুরু হয় এই দিয়ে। ভার্সিটি চত্বরে ফ্রেন্ডলি ক্রিকেট ম্যাচ, দর্শক হিসেবে অগনিত 'ফ্রেন্ড'। তারমধ্যে একজন একটু আলাদা। দেখা হলেই মুচকি হাসে। গালে কি টোল পরে? ভাবতে ভাবতে বল গলে বাউন্ডারি। "কোন দিকে ফিলডিং মারো?" টিমের ভৎসর্নার কোন জবাব দিতে পারে না বালক।
খেলার পরে 'ভয়নকর স্বেচ্ছাসেবী' বন্ধুর আবির্ভাব। "হুম কতদিন ধরে? তলে তলে এত কিছু?" বায়বীয় রঙীন ফানুস গড়ে ওঠে। বালকের সর্বনাশ হয়। এরপরের দিনগুলিতে চলে গুরুশিষ্যের সেশন, কি করিলে কি হইবে তার অগনিত অন্ক কষা। প্রেসকিপশন মোতাবেক কম্পিত গলায় বালক ফোন করে "হ্যালো কেমন আছ?"। ঘুম জড়ানো কনঠে উত্তর আসে "ও আপনি? তারপর কি মনে করে?" বালক ঘাবড়ে যায়, শেখানো বুলি মনে আসে না। কিছু একটা বলে রেখে দেয়।
এরপর ব্যাপারটি বন্ধুমহলে উত্থাপিত হয়। এক সুপুরূষ বন্ধু বলে ঠিক আছে আমি ব্যাপারটি দেখছি। এরপর বুড়িগঙা দিয়ে অনেক জল গড়িয়ে যায়। ত্রাতা আঠার মত লেগে থাকে টোল পরা বালিকার সাথে। বালক আশায় থাকে। একদিন ত্রাতা এসে বলে "হবেনারে দোস্ত"। বালকের স্বপ্নভঙ হয় । বন্ধুর প্রতি তার অগাধ বিশ্বাস । একবারও জিজ্ঞেস করেনা 'কেন'?
আর বন্ধুমহলে নতুন জুটির আবির্ভাব হয়।