বাংলা ব্লগ পরিক্রমা -১
বিশেষ একটি কাজে ব্যস্ত থাকায় গত কয়েক মাস লিখতে পারিনি। তবে দেরীতে হলেও বিবিধ ব্লগের লেখা পড়ার সময় করে নিয়েছি এবং দেখলাম যে অনেক লেখা প্রকাশিত হয়েছে। তবে ভাল লেখাগুলো খুঁজে বের করা বেশ সময় ও কষ্টসাধ্য। তাই হঠাৎ করেই মাথায় আইডিয়াটি এল যে একটি ব্লগ পরিক্রমা করলে কেমন হয়! এর সাহায্যে যাদের সময় কম তারা শত শত লেখার ভীড়ে উল্লেখযোগ্য লেখাগুলো পড়ে নিতে পারে।
এখানে আমি শুধু লেখাগুলোর কিয়দংশ তুলে দিচ্ছি, লিন্ক ধরে উল্লেখিত ব্লগ গুলোতে গিয়ে পছন্দ মতন সম্পূর্ণ লেখা পড়ে নিবেন আশা করি।
সাংবাদিক আক্কাস বাংলা ভাষা ও ভাষা বিষয়ক চিন্তাভাবনা তার ব্লগে তুলে ধরেন। তার সাম্প্রতিক লেখা বাংলা "হরফের রেখা আর চতুষ্কোণ" এ বাংলা হরফের অদৃশ্য নকশা সম্পর্কে আলোকপাত করছেন।
'আমার কিছু বক্কা' ব্লগের 'দ্যা হিডেন গড' পশ্চিম বঙের বাংলাভাষীদেরকে বাংলা উইকিপিডিয়াতে অংশগ্রহণ করার জন্যে আহ্বান জানিয়েছেন:
"বাংলাদেশের স্বেচ্ছাসেবকেরা যদি বাংলা উইকিপিডিয়ার উন্নতিতে এগিয়ে আসতে পারেন তাহলে আমরাই বা কেন পিছিয়ে থাকব?"
বাংলাদেশের আইটি জগতের এক তারকা অমি আজাদ তার ব্লগে জানাচ্ছেন যে ওয়েবে নতুন ভোটার তালিকা সংশোধনের সুযোগ রয়েছে:
"একজন ভোটার এখন www.voterlist.gov.bd ঠিকানার ওয়েবসাইটে ঢুকে তাঁকে দেওয়া পিন বা ব্যক্তিগত পরিচিতি নম্বর, জন্ন তারিখ এবং ওয়েব পাতায় থাকা নিরীক্ষা সংকেত লিখে তার নিজের ভোটারসংক্রান্ত তথ্য যাচাই করে দেখতে পারবেন। আর তথ্য-সংক্রান্ত যেকোনো ধরনের ত্রুটি সংশোধনের জন্য তিনি ওয়েবসাইটের মাধ্যমেই অনুরোধ করতে পারবেন।"
দৃষ্টিপাতের নতুন বাংলা ব্লগ 'না বলা কথা'য় জনপ্রিয় কথা সাহিত্যিক আনিসুল হক তার সাম্প্রতিক সড়ক দুর্ঘটনার পর ভক্তদের জানান দিচ্ছেন "আমি বেঁচে আছি":
"শত্রুর মুখে দিয়ে ছাই, আমার প্রাণহানির কোনো আশংকাই আপাতত নাই।"
তার সরেস লেখাটি পুরো পড়তে ভুলবেন না।
ভদ্র তার এক আক্ষেপের কথা জানাচ্ছেন। নিশ্চয়ই এই আক্ষেপ আরও অনেক বাংলাভাষীরই:
"অপ্রতিদ্বন্দী দেশ এবার এগিয়ে যাচ্ছ শতবর্ষের দিকে। দেশ পত্রিকাকে আমার অনেক শুভেচ্ছা জানাই।আর আমার বিনীত প্রশ্ন - “দেশ পত্রিকা কবে অনলাইন হবে?”
হলের খাওয়া সম্পর্কে আমাদের সবারই বিভিন্ন গল্প জানা আছে। হিডেন হার্ট এর কাছ থেকে শোনেন পান্তার নতুন কাহিনী:
"মাছের সাইজ অনুমান করতে করতে তিন চার চামচ ঠান্ডা ভাত উঠিয়ে ফেলেছি প্লেটে। এর পর প্লেটে হাত দিয়েই দেখি হাত ভেজা ভেজা লাগে!! ভাতের মধ্যে পুরা আঙ্গুলের দুই কর পানি! পানি হয়েছে তাই কি! কোন ব্যপার না। ঠান্ডা ভাতে পানি পড়াতে কেমন পান্তা পান্তা ভাব হয়েছে। সাথে আছে শুকনা মরিচের আলুভর্তা আর ইলিশ(আসলে ইলিশ ফ্লেভারের পুটি)। ভাবলাম- ভালইতো , আজ পান্তা ভাত দিয়েই ইলিশ মাছ খাব!"
পান্তাটি আসলে কিভাবে তৈরি তা জানতে পারবেন পুরো লেখাটি পড়লে।
ইশতিয়াক জিকোর ব্লগ 'জিকোবাজিতে' প্রকাশিত ১১ কিস্তির ইউনিকোড পাঠ অনেকেরই রেফারেন্স হিসেবে কাজে লাগবে।
আজ এ পর্যন্তই। পরবর্তীতে আরও বাংলা ব্লগকে তুলে ধরার আশা রাখি।
প্রথম প্রকাশ: সচলায়তন
No comments:
Post a Comment