Friday, October 26, 2007

অস্বীকার



জামাত বলছে যে এদেশে কোন যুদ্ধোপরাধী নেই। বিস্তারিত এখানে

Sunday, October 21, 2007

অন্য নারীদের কথা

জার্মান ব্লগগুলোতে যারা লেখালেখি করেন তাদের অনেকেরই খুব নাক উঁচু। এক শ্রেনীর ব্লগাররাতো তাদের লেখার সাহিত্যমান নিয়ে খুবই সচেতন। কারো কারো ব্লগে লেখা নিয়ে রীতিমত রিডিং সেশন হয়। একবার একজন রাস্তায় খাবার বিক্রেতা একটি ব্লগে লেখা শুরু করল এবং তা খুব জনপ্রিয় হলো। সেই ব্লগে একদিন একজন মন্তব্য করল যে এরপরে আমরা দেখব যে একজন ক্লোফ্রাউ (টয়লেট পরিস্কারকারী নারী) ব্লগিং শুরু করেছে। এই মন্তব্য জার্মান ব্লগোস্ফিয়ারকে দুভাগ করে দিল। একদল বলল আরে ভারী মজা হবে তো -শুরু হোকনা। আরেকদল নাক সিটকালো। বলল সাহিত্যমান ছাড়া আবার ব্লগ হয় নাকি? সব আনকালচারড, অশিক্ষিতের ভিড়ে ব্লগের বারোটা বাঁজতে দেরী নেই। বিতর্কটি এখনও হয়তো চলছে সেখানে। কিন্তু সেদিন টিভিতে ডকুমেন্টারী দেখলাম এক ঘানার মহিলা ক্লোফ্রাউ জার্মান একটি শহরের টয়লেটে কাজ করে তার আয় থেকে জমিয়ে তার দেশে একটি এতিমখানা চালাচ্ছে। কি উজ্জ্বল এবং অনন্য সে এসব অনেক কালচার্ড এর মাঝে থেকেও।

বাংলাদেশে ব্লগিংয়ের চিত্রটি পর্যবেক্ষন করলে দেখা যায় সাধারনত: মধ্যবিত্ত -উচ্চ মধ্যবিত্তরাই ব্লগায়। কারন একটাই- ইন্টারনেটের সহজলভ্যতা ও মুল্য। উচ্চবিত্তদের বিনোদনের অন্যান্য উপায় রয়েছে। নিন্মবিত্তদের নেই কোন উপায়।

সাহিত্য চর্চা ও বইপ্রকাশনার দিকে তাকালে দেখা যায় সেখানে উচ্চ এবং উচ্চ মধ্যবিত্তের দাপট। নিজের গাঁটের পয়সা খরচ করে বই প্রকাশ করে বন্ধুদের মাঝে বিলোতে হয়। অথচ মধ্যবিত্ত অথবা নিন্ম মধ্যবিত্ত অনেক লেখক বছরের পর বছর অপেক্ষা করে একটি বই ছাপানোর সুযোগের জন্যে। ইন্টারনেট তাদের জন্যে হতে পারে একটি অপুর্ব সুযোগ। উদাহরনস্বরুপ আমি সচলায়তনের ই-বুকের কথা বলব

কিন্তু আমাদের দেশে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ শ্রেনী রয়েছেন। তারা হচ্ছেন প্রান্তীক ও কর্মজীবি নারীরা। এদের মধ্যে কাউকে আপনারা দেখেন সকালে টিফিন ক্যারিয়ার হাতে মিছিল করে চলতে। তাদের গতিতেই দেশের গতি, বৈদেশিক মুদ্রা, অথবা মালিকের মার্সিডিজ অফরোড ভেহিকেল।

তাদের কন্ঠ কি আমরা কখনও কেউ শুনতে চেয়েছি? জানতে চেয়েছি তাদের প্রিয় চলচিত্র কি? তাদের মা কি কষ্ট করে তাদের এত বড় করেছেন? তাদের সুখদু:খ, দেশভাবনা, আশা বেদনার কথা?

ইন্টারনেট একটি খুবই উর্বর মাধ্যম। গ্লোবাল ভয়েস অনলাইন হার্ভার্ড ল স্কুলের বার্কম্যান সেন্টার ফর ইন্টারনেট এন্ড সোসাইটিতে (সমাজে ইন্টারনেটের প্রভাব সম্পর্কে একটি গবেষনা প্রতিষ্ঠান) প্রতিষ্ঠিত একটি অলাভজনক আন্তর্জাতিক নাগরিক মাধ্যম (সিটিজেন মিডিয়া) প্রকল্প। তাদের আরেকটি নুতন প্রকল্প হচ্ছে রাইজিং ভয়েসেস। এটির উদ্দেশ্য হচ্ছে বিশ্বব্যাপী ওয়েবে আন্ডার রিপ্রেজেন্টেড কমিউনিটির কন্ঠগুলোকে তুলে ধরা। তাদের ৫০০০ ডলার মূল্যের মাইক্রোগ্র্যান্ট পেয়েছেন পাঁচটি সংগঠন যার মধ্যে একটি হচ্ছে বাংলাদেশের নারী জীবন প্রকল্প

কাজী রফিক ইসলাম এবং ক্যাথি ওয়ার্ড হচ্ছেন ঢাকার নারী জীবন প্রকল্পের যথাক্রমে সমন্বয়কারী এবং নির্বাহী পরিচালক। এদের ওয়েবসাইট থেকে আপনি জানতে পারবেন তারা ঢাকার যুবনারীদের নিয়ে চোখে পড়ার মত কাজ করছেন। রাইজিং ভয়েসেস ক্ষুদ্র অনুদানের সহায়তায় তাদের বর্তমানে সেবাদানরত বাংলা, ইংলিশ এবং কম্পিউটার ক্লাসের মাধ্যমে তারা বাংলাদেশী নারীদের ব্লগিং, ফটোগ্রাফী এবং ভিডিওব্লগিং করতে শেখাচ্ছেন। আপনারা ‘বাংলাদেশ ফ্রম আওয়ার ভিউ’ এই ইংরেজী ব্লগে এবং 'আমাদের কথা' নামক বাংলা ব্লগে এইসব নারীদের লেখা দেখতে পারবেন। এইখানে প্রকল্পটির অগ্রগতি সম্পর্কে বিস্তারিত রয়েছে।

ওদের বাংলা ব্লগটি আমার মনযোগ আকর্ষন করেছে। যদিও লেখাগুলো কিছুটা সম্পাদন করা হয়েছে, তবুও এইসব নারীদের গ্রামের বধুর সৌন্দর্য নিয়ে পদ্য, মায়ের মৃত্যু, বা কর্মজীবি মহিলার সংগ্রামের কথা ওগুলো মৌলিক এবং সবই হৃদয় ছুঁয়ে যায়। আমরা হয়ত এরকম কিছু কখনও পত্রিকায় দেখেছি রিপোর্টারের চোখে। কিন্তু এখানে তাদের নিজস্ব কথা তারা নিজেরাই টাইপ করেছে তাদের কম্পিউটার শিক্ষার অংশ হিসেবে। এরকম আরও কত গল্প রয়েছে আপনারা নিজেরা পড়ে দেখুননা।

আমি চিন্তা করছি কোনদিন কি ইন্টারনেট আমাদের সমাজে শ্রেনীভেদ ঘুঁচিয়ে নিজেকে প্রকাশ করার সমান অধিকার দেবে? কোন দিন কি এদের মাঝ থেকে কোন লেখকের বই আমাদের শেল্ফে শোভা পাবে?

প্রথম প্রকাশ: সচলায়তন

Sunday, October 07, 2007

কিছু পড়ো না, কিছু শুনো না, কিছু লিখো না....

রাজাঃ আজ থেকে ইন্টারনেট বন্ধ
পারিষদঃ জী আজ্ঞা খোদা বন্দ
রাজাঃ কি নাম যেন পন্ডিতের,
তারে বলবে সে পড়িয়েছে ঢের।
পারিষদঃ ইন্টার নেট!
রাজাঃ তুমি কি গবেট?
রাজাঃ আজ থেকে ইন্টারনেট বন্ধ।
পারিষদঃ জী আজ্ঞে
রাজাঃ এরা যত বেশী পড়ে
তত বেশী জানে
তত কম মানে।
ঠিক কিনা?
পারিষদঃ ঠিক। ঠিক। ঠিক।

'হীরক রাজার দেশ' শিরোনাম দিয়ে এই কমেন্টখানি করেছেন লাল দরজা

বাকস্বাধীনতা মানুষের গুরুত্বপূর্ণ একটি অধিকার। কথা বলার এবং কথা শোনার অধিকার এবং যোগাযোগের গোপনীয়তার নিশচ্য়তা দিয়েছে বাংলাদেশ সংবিধান তার ৪৩ ধারার মাধ্যমে। বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তির নতুন নতুন উদ্ভাবনে যোগাযোগ ও কথোপকথনের নতুন নতুন টুলগুলোর উদ্ভব হয়েছে যা বাকস্বাধীনতাকে আন্তর্জাতিক মহলে প্রসারিত করেছে।

ইন্টারনেট এমন একটি প্রযুক্তি যা অনেক নতুন মাধ্যম (new media) ও টুল আবিস্কার করেছে যার ফলে তথ্য ও কথোপকথন আর সেইসব লোকের নিয়ন্ত্রনের মধ্যে নেই যারা প্রকাশনা ও বিতরনের মাধ্যমগুলোর মালিক বা দখলদার; সেইসব সরকারের নিয়ন্ত্রনে নেই যারা চিন্তা ও কথোপকথনে বাধা আরোপ করে। এখন যে কেউ প্রেস এর শক্তিকে ব্যবহার করতে পারে (যেমন নিজস্ব ব্লগে সংবাদ, ছবি ও ভিডিও প্রকাশ করা যায়)। যে কেউ তাদের গল্প পৃথিবী জুড়ে লোকের কাছে বলতে পারে ইমেইল বা অন্য কোন টুল দিয়ে। মানুষের বাকস্বাধীনতা নিশ্চিত করতে এসব টুলগুলো ব্যবহারের সার্বজনীন বাধাহীন অধিকার প্রয়োজন।

ভিওআইপি (ভয়েস ওভার ইন্টারনেট প্রোটোকল) হচ্ছে সেধরনের একটি প্রযুক্তি যার ফলে ইন্টারনেটের মাধ্যমে কম খরচে ফোনে কথা বলা যায়। এর সুবিধা হচ্ছে বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর দামী সলিউশনগুলোর উপর না নির্ভর করে ছোট উদ্যোক্তাদের মাধ্যমে সহজলভ্য এই প্রযুক্তির সুবিধা জনগনের কাছে পৌছে দেয়া যায়। আমরা বিগত দশকে যে কলিং কার্ডের উদ্ভব দেখেছি যার মাধ্যমে বিপুল সংখক প্রবাসী বাংলাদেশী দেশের সাথে কম খরচে যোগাযোগ রাখতে পারছেন তা এই ভিওআইপির কল্যানেই। বিশ্বের অনেক দেশে এর আইনগত বৈধতা দেয়া হয়েছে এবং সরকারকে ট্যাক্স দিয়ে যে কেউ এটি করতে পারে। বাংলাদেশও এ প্রযুক্তির সেবা দিতে পিছিয়ে নেই। কিন্তু এতদিন সময়োপযোগী সরকারী বিধিমালার অনুপস্থিতিতে ছোটখাট অনেক ভিওআইপি অপারেটর গড়ে উঠেছে বিশ্বব্যাপী এইসব ব্যবসার বাংলাদেশের ব্যাকবোন হিসেবে। এগুলোর বেশীরভাগই প্রযুক্তি বিষয়ে জানা যুবক এবং কিছু পূঁজি লগ্নিকারীর ছোটোখাট উদ্যোগ। এই বাজার সৃষ্টি করেছে আন্তর্জাতিক ব্যবসার চাহিদা, কোন অবৈধ উদ্দেশ্য নয়। সুস্পস্ট নিয়ম নীতিমালা না থাকায়ই এরা অনেক সময় বাধ্য হয়েছে অবৈধভাবে বৈদেশিক মুদ্রায় ব্যবসায়িক লেনদেন করতে। কিন্তু এই ব্যবসার পরিসর এত বড় হয়ে গেছে যে অনেকেরই শ্যেনদৃষ্টি পড়েছে এর উপরে।

প্রথম খোঁড়া যুক্তি হচ্ছে যে এই ভিওআইপির জন্যে বিটিটিবির রেভেনিউ কমেছে। এই কারন দেখিয়ে তারা এইসব ছোটখাটো ভিওআইপি উদ্যোগগুলোকে দমন করতে সচেষ্ট হয়েছে। বিটিটিবির রেভেনিউ হয়তো এর ফলে বেশ কয়েকগুন বেড়ে যাচ্ছে। কিন্তু তার মানে হচ্ছে সাধারন ভোক্তাদের কলিং কার্ড বাদ দিয়ে সাধারন চ্যানেল ব্যবহার করে কয়েকগুন বেশী মূল্য দিয়ে কথা বলতে হচ্ছে। বিশ্বব্যাপী কলিংকার্ডে বাংলাদেশে আগে যে মূল্যে কথা বলা যেত এখন তার থেকে প্রায় দ্বিগুন দিতে হচ্ছে। আর এইসব ছোটখাট উদ্যোক্তাগুলো যারা পুঁজিসহ সর্বশান্ত হয়েছেন কারন তাদের পূনর্বাসনের চিন্তাতো করা হয়নি তাদের বরং তাদের অপরাধী হিসেবেই চিন্হিত করা হয়েছে।

আজকের গ্লোবালাইজেশনের যুগে যে প্রযুক্তি/ব্যবসা কম মূল্যে সেবা দেবে সেটাই তো মানুষ গ্রহন করবে। অন্যান্য দেশের লোকেরা যেখানে এই সুবিধা পাচ্ছে সেখানে এদেশের মানুষকে এ থেকে বন্চিত রাখা হচ্ছে। সরকারের উচিৎ নিজের ব্যবসায়ীক লাভের কথা শুধু না ভেবে সবাইকে প্রযুক্তির সুবিধা এবং আইনগত ব্যবসার সুযোগ সম্প্রসারিত করে দেয়া যেখানে সুস্পষ্ট নীতিমালা থাকবে এবং যাতে আইনগতভাবে সরকারকে কর দিয়েই এসব ব্যবসা হয়। ফলে লোকসানের প্রশ্ন আসছেনা।

প্রযুক্তিকে কেউ থামিয়ে রাখতে পারে না। বাংলাদেশে ফ্যাক্স মেশিন যখন প্রথম আসে তখন বিটিটিবি নাকি দুই বছর ফ্যাক্স মেশিনের ব্যাবহার নিষিদ্ধ করে রেখেছিল কারণ ফ্যাক্সের কারনে নাকি তাদের টেলিগ্রাফের ব্যাবসা ক্ষতিগ্রস্থ হবে। ৮০’র দশকের শেষের দিকে এবং ৯০এর দশকের প্রথম দিকে বাংলাদেশ দুবার কম খরচে সাবমেরিন কেবল কন্সোর্টিয়ামের সাথে যোগ দিতে পারেনি কারন সেসময় সংশ্লিষ্ট নিয়ম নির্ধারকরা যাদের প্রযুক্তিগত ধারনা ছিলনা সরকারকে বুঝিয়েছিল যে এর ফলে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বাইরে পাঁচার হয়ে যাবে। ফলে বিপুল টাকা খরচ করতে হয়েছে গত বছরে পাওয়া সাবমেরিন কেবলের সংযোগের জন্যে। মাঝখান থেকে প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত গত প্রায় দেড় দশকে এই সাবমেরিন কেবল ব্যবহার করে বিশ্বব্যাপী বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং (বিপিও) এর কাজগুলো দেশ থেকে করে বিপুল এক জনগোস্ঠীর চাকুরীর সুযোগ করে দিয়েছে ও বিপুল পরিমান বৈদেশিক মুদ্রা আয় করেছে। তাই প্রযুক্তিকে জনগনের কাছে সহজলভ্য না করার ফলাফল কখনই লাভজনক হয়না।


বিটিআরসির এইসব হঠকারী নিয়ন্ত্রনকারী পদক্ষেপ বাংলাদেশে প্রযুক্তিকে বাধাগ্রস্ত করেবে এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। তাদের এই পদক্ষেপগুলো নেয়ার সময় এতে মানুষের সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে এই ব্যপারটিও বিবেচনায় রাখা হয়নি। কিন্তু তারা এই সুযোগটি নিতে পারছে কারন আমরা কি আমাদের নাগরিক অধিকার সম্পর্কে সচেতন?

প্রথম প্রকাশ: সচলায়তন

Saturday, October 06, 2007

বিটিআরসির ইন্টারনেট মনিটরিং সংক্রান্ত একটি আপডেট

পুর্বের পোস্ট: বাংলাদেশে ইন্টারনেট সার্ভেইল্যানস এখন সময়ের ব্যাপার

বিবিসি বাংলার গতকালের প্রভাতী অনুষ্ঠানে দুজন বিশেষজ্ঞের সাক্ষাৎকার নেয়া হয়েছে। সাক্ষাৎকারগুলো শুনুন:

১) আন্তর্জাতিক আইন বিশেষজ্ঞ ব্রাসেলস ইউনিভার্সিটির আইনের অধ্যাপক আহমেদ জিয়াউদ্দিন:

"এটি বাংলাদেশ সংবিধানের ৪৩ ধারার সুস্পস্ট লঙ্ঘন"


Get this widget | Track details | eSnips Social DNA

২) ব্যারিস্টার সুলতানা কামাল, মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ ও ভূতপুর্ব এডভাইজার, কেয়ারটেকার সরকার :

"এমনিতেই বিভিন্ন ক্ষেত্রে টেলিট্যাপিং হয়, বিভিন্ন জনের উপর নজরদারী হয় কিন্তু সেটি করা হয় সৌজন্য রেখে সরাসরি নয় কারন সেটি তাহলে অগনতান্ত্রিক হবে। এখন তো এইভাবে এই সব অগনতান্ত্রিক পদ্ধতিকে ন্যায্যতা দিয়ে দেয়া হচ্ছে।"



Get this widget | Track details | eSnips Social DNA

আমি এখনো দেশী কোন সংবাদপত্রে এ নিয়ে আলোকপাত করতে দেখিনি। দেশীয় সংবাদপত্রে সংবাদটি ব্ল্যাকআউট কেন হচ্ছে কেউ কি বলতে পারেন?

আরেকটি সংবাদ হচ্ছে: স্থায়ীভাবে বাতিল হলো সিএসবি টিভি চ্যানেলের ফ্রিকোয়েন্সি। নোটিসের জবাবে সন্তুষ্ট হয়নি বিটিআরসি


প্রথম প্রকাশ: সচলায়তন

Friday, October 05, 2007

বাখ বে'থোফেনের দেশে



১.

পাশ্চাত্য ক্লাসিক্যাল সঙীত শোনায় আমার হাতেখড়ি নব্বুই দশকের প্রথম দিকে জার্মান কাল্চারাল সেন্টার লাইব্রেরী থেকে। ধানমন্ডি দুই নম্বর রোডের সেই সুন্দর বাড়ীটির (পরে বেক্সিমকো এন আইআইটি) নীচতলায় ছিল লাইব্রেরীটি। লাইব্ররিয়ান খান ভাইয়ের গম্ভীর ব্যবহারে তখন বেশ ভয়ই পেতাম। কিন্তু সেখান থেকে অডিও ক্যাসেট আর ম্যাগাজিন ধার করার জন্যে বার বার সেই ভয় ঠেলে যেতাম। পরে ওনার সাথে আমার খুবই ভাল সম্পর্ক তৈরি হয়।

অডিও লাইব্ররীটিতে আমার পছন্দের ইংরেজী পপ সঙীত তেমন ছিল না। স্করপিওনস বা নিনার দুএকটি গান সহ সংকলন পেলে হাভাতের মত বাসায় নিয়ে আসতাম। আবিস্কার করলাম সেখানে পাশ্চাত্য সঙীতের এক বিশাল কালেকশন। আস্তে আস্তে বাসায় আনা শুরু করলাম বে'থোফেন, মোজার্ট ইত্যাদি কম্পোজারের মিউজিক। নিজের অজান্তেই এগুলো ভাল লাগতে শুরু করল। পরবর্তীকালে সেই উৎসাহে ভাটা পরে না শোনার কারনে কিন্তু ভাল লাগাগুলো থেকেই যায়। নব্বই দশকের শেষ দিকে একবার এক সহকর্মী কিছু ব্যবহার করা ওয়েস্টার্ন ক্লাসিকাল সিডি বিক্রি করেছিলেন সেখান থেকে কিছু কিনেছিলাম। সেগুলো শুনলাম প্রান ভরে। এছাড়া বেশ কিছু লাইভ কনসার্ট দেখার সুযোগ হয়েছিল জার্মান কালচারাল সেন্টার ও ওসমানী মিলনায়তনে (গুটিকয়েক অতিথি শিল্পীদের দ্বারা) কিন্তু সেগুলো যে দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানো তা বুঝলাম অনেক পরে।

২.
জার্মানীতে আসার পর একটি জিনিসের স্বপ্ন ছিল, সত্যিকারের ক্লাসিকাল কনসার্ট শোনা। প্রথম যে শোতে গেলাম - বার্লিনের চারুকলা ইউনিভার্সিটি অডিটরিয়ামে, বুঝলাম সম্পুর্ণ অর্কেস্ট্রা কাকে বলে। ইউনিভার্সিটিতে ক্লাসিকাল মিউজিক অধ্যয়নরত ২৭ দেশের প্রায় শতাধিক ছাত্রছাত্রীর মেলা মন্চে। একসাথে ৪০টির অধিক ভায়োলিন -ভায়োলা, হার্প, ডাবল বেজ, বাঁশী, ইংলিশ হর্ণ, ফ্রেন্চ হর্ণ, টম্বোন, ট্রাম্পেট এবং বিচিত্র রকম পার্কাশন সাজিয়ে বসেছে তারা। সবার পড়নে মার্জিত আনুষ্ঠানিক পোষাক কালো- সাদায়। কন্ডাক্টর আসলেন, করতালি পরল। উনি হাতে ছড়ি (ব্যাটন) নিয়ে নির্দেশ দিলেন সঙীত শুরু করতে।

যদিও শিল্পীরা নামকরা কেউ নয় কিন্তু আমি সত্যিই বিভোর হয়ে ছিলাম তাদের বাজানো সঙীতের মুর্ছনায়। ছয়-সাতশো লোকের সামনে ১০০ জন পারফর্ম করছে ভেবে দেখুন। ক্যাসেটে শুনে এই আবেদন পাওয়া যায় না।

বার্লিনের অন্যতম নাম করা অর্কেস্ট্রা হচ্ছে বার্লিন ফিলহারমোনিক অর্কেস্ট্রা যারা প্রতিবছর আয়েজন করে বার্লিন মিউজিক ফেস্টিভ্যাল। অস্ট্রিয়ান কন্ডাক্টর হার্বার্ট ফন কারায়ান (যার নির্দেশিত সঙীত আমি ক্যাসেটে অনেক শুনেছি) ১৯৮৯ সালে মারা যাওয়ার আগে পর্যন্ত ৩৫ বছর ধরে বার্লিন ফিলহার্মোনিকের মিউজিক ডাইরেক্টর হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার সম্মানে ফিলহারমোনির সামনের রাস্তাটির নাম করন করা হয় 'হার্বার্ট ফন কারায়ান স্ট্রাসে'।

এবার মিউজিক ফেস্টিভ্যালে একটি কনসার্ট দেখার ইচ্ছে ছিল। সাধারনত কনসার্টের মুল্য বেশ চড়া হয় এবং ভাল যায়গা পেতে হলে আগে থেকে বুক করতে হয়। আমার যেদিন সুযোগ হলো সেদিন প্রথম ভাগে ছিল প্রথম আন্তর্জাতিক খ্যাতিপ্রাপ্ত আমেরিকান কম্পোজার চার্লস ঈভস (১৮৭৪-১৯৫৪) এর সঙীত এবং বাজিয়েছে কনসার্টহাউজ অর্কেস্ট্রা বার্লিন। দ্বিতীয় ভাগে ছিল রোমান্টিক সময়কার চেক কম্পোজার আন্তোনিন দোভোরাক এর সঙীত। চার্লস ঈভসকে বেশ উচ্চকিত ও সিরিমোনিয়াল মনে হল অবশ্য তার পিসগুলোর নাম ছিল ডেকোরেশন ডে, দ্যা ফোর্থ অফ জুলাই, ওয়াশিঙটন'স বার্থডে এমন।

৩.
আমার দেখা কিছু কনসার্ট সংস্কৃতি উল্লেখ করার লোভ সামলাতে পারছিনা। জার্মান সমাজে ক্লাসিকাল সঙীতকে খুবই উচ্চমার্গের ধরা হয় এবং এগুলোতে সমাজের উচু স্তরের লোকজনের আনাগোনা বেশী। প্রথমবার সাধারন পোষাকে গিয়ে ধরা খেয়েছিলাম। তাই ফেস্টিভ্যালে কোটটি চাপিয়ে গেলাম। কিন্তু দেখি পুরুষরা প্রায় সবাই টাই পরে আরও কেতাদুরস্ত, কিছু উচ্চবর্গীয় নারীর ডিজাইনার পোষাক পড়ে আগমন দেখলাম। অনুষ্ঠান শুরুর সাথে সাথে দরজা বন্ধ হয়ে যায়। যারা দেরী করে আসবে তাদের জন্যে বাইরে বসার ও টিভি মনিটরের ব্যবস্থা আছে। মোবাইল ফোন বন্ধ করার কোন ঘোষনা দেয়ার দরকার নেই কারন ভেতরে বিশেষ ব্যবস্থায় নেটওয়ার্ক নেই। ফলে পিন পতন নিস্তব্ধতায় কনসার্টটি চলল।

দুই ঘন্টার সঙীতে (মাঝখানে ১৫ মিনিটের বিরতি) ৮০-১০০ জনের মুল অর্কেস্ট্রার পাশাপাশি প্রায় চল্লিশ জনের একটি কয়ার গ্রুপ বসে ছিল সারাক্ষন মাঝের ২-৩ মিনিটের জন্যে কন্ঠ দেয়ার জন্যে এবং তাদের জন্যে ছিল আলাদা কন্ডাক্টর। সঙীতের কোন অংশ সম্পুর্ণ শেষ না হলে তালি দেয়ার নিয়ম নেই। ভুলে কেউ তালি দিলে আশেপাশের বেশ কয়েকটি চোখ আপনার দিকে ঘুরে যাবে। কনসার্ট শেষ হওয়ার পর তালির বহর শুরু হবে। এই তালি দেয়াটাও একটি আর্ট। প্রথমবার শিল্পীরা সবাই দাড়িয়ে বো করে কন্ডাক্টর চলে গেলেন। শিল্পীরা বসে গেলেন কিন্তু তালি থামছেনা। উনি আবার আসলেন মন্চে , এসে আবার বো করলেন। তাকে ফুল দেয়া হলো তিনি বো করে চলে গেলেন। তালি পড়তে লাগলো এবং তিনি যেন আবার আসতে বাধ্য হলেন। তারপর তার দৃষ্টিতে সবচেয়ে ভাল পারফর্মারের দিকে অঙুলী নির্দেশ করলেন সে উঠে দাড়ালো। তারপর তিনি চলে গেলেন। ওইদিকে তালি চলছে অবিরাম। প্রায় ৫-৬ মিনিট ধরে ছবার তিনি আসলেন গেলেন এবং শেষ পর্যন্ত শিল্পীরা মন্চ থেকে নেমে গিয়ে দর্শকদের উদ্ধার করল।

৪.
বাখ ও বে'থোফেনের দেশে ইচ্ছে করলেই সঙীতে ডুবে থাকা যায়। গাড়ীতে চলতে চলতে হাত বাড়ালেই 'ক্লাসিক রাডিও' আর বাড়ীতে টিভিতে 'ক্লাসিকাল এফ এম'। এছাড়া নানা কনসার্ট অনুষ্ঠানের লাইভ সম্প্রচারতো রয়েছেই। খালি শোনার আগ্রহ দরকার। আর এখানকার জনগনকে তৈরি করা হয় সেভাবেই। তিন বছরের মেয়ে প্রি স্কুলে যাচ্ছে তো দেখলাম তাদের স্বরবর্ণ শেখার আগেই মিউজিক ক্লাস হচ্ছে। মিউজিক টিচারকে জিজ্ঞেস করলাম এরা তো কথাই ঠিকমত বোঝে না, এদের তুমি সঙীত বোঝাতে পারবে? সে বলল আমাদের প্রচেষ্টা ধ্বনির পার্থক্যগুলো সম্পর্কে তাদের ধারনা তৈরি করা। কাজেই তোমার মেয়েকে কানে হাত দিয়ে কোন কিছু মনযোগ দিয়ে শুনতে দেখলে বকা দিওনা। ওটা আমরাই শেখাচ্ছি।

আমার ছেলেবেলাটি যদি এমন হতো!

৫.
আপনাদের সবার জন্যে পাশ্চাত্য ক্লাসিক্যাল সঙীতের কিছুটা আমেজ রেখে যাচ্ছি এখানে। আমার পছন্দের কিছু সঙীতের লিন্ক:

# লুডভিগ ফান বে'থোফেন - ৫ম সিম্ফোনি৯ম সিম্ফোনি
# ইওহান সেবাস্তিয়ান বাখ - ব্রান্ডেনবুর্গ কনসার্ট
# ভোল্ফগাঙ আমাদেউস মোৎসার্ট- আইনে ক্লাইনে নাখটমুজিকসিম্ফোনি নং ৪০
# শুমান - পিয়ানো কনসার্টো নং ১
# ইগর স্ট্রাভিন্সকি - দ্যা রাইট অফ স্প্রিং
# মরিস রেভেল- বলেরো
# চায়কোভস্কি - সোয়ান লেক
# হেন্ডেল -ওয়াটার মিউজিক
# আন্তোনিন দোভোরাক - ফ্রম দ্যা নিউ ওয়ার্লড (৯ম সিম্ফোনি)

প্রথম প্রকাশ: সচলায়তন

কেন বাংলাদেশে প্রকাশিত কার্টুন নাইজেরিয়ায় খ্রীস্টানদের মৃত্যুর কারন হয়

কারন পত্রিকার সম্পাদক ক্ষমা চাওয়ার পরেও এবং দেশের প্রধান মসজিদের খতিব এ নিয়ে বাড়াবাড়ি করতে না বলার পরেও হিজবুত তাহরির নামের সংগঠন শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর (অন্য সময় লোক পায়না) পত্রিকাটি বন্ধ করে দেয়ার বিরুদ্ধে তাদের প্রতিবাদ জারী রাখে। লন্ডনে প্রতিবাদ সমাবেশ করে বাংলাদেশকে অসহনশীল একটি দেশ হিসেবে প্রমান করার চেষ্টা করে। তাদের প্রেস রিলিজের তিন নম্বর দাবীটির দিকে তাকালেই প্রতীয়মান হয় প্রথম দুটি ইস্যু কেন দরকার তাদের। শরীয়া এবং খিলাফত প্রতিষ্ঠাই তাদের একমাত্র উদ্দেশ্য এবং এজন্যই কার্টুন ইস্যুটি জিইয়ে রাখা তাদের দরকার। ওদিকে সরকার নাকি এইসব আদর্শ মুসলমানদের হাতে আরিফের জীবন হুমকির মুখে পরতে পারে ভেবেই তাকে নিরাপত্তার জন্যে আটকে রেখেছে। এদের নিয়ে সবার এত ভয় কেন?

নাইজেরিয়ার এক সংবাদ রিপোর্ট অনুযায়ী বাংলাদেশের এই কার্টুন কন্ট্রোভার্সী নাকি সেদেশে নয়জন খ্রীস্টানের মৃত্যুর কারন হয়েছে। নাইজেরিয়ার খ্রীস্টান এসোসিয়েশনের জেনারেল সেক্রেটারী স্যামুয়েল সালিফু বলেছেন:

"তারা ইন্টারনেটে কার্টুনটি দেখল এবং জানল যে ২০ বছর বয়সী এক বাংলাদেশী মুসলিম সেটি এঁকেছে তখন তাদের রাগ মেটাতে তারা নিরপরাধ খ্রীস্টান এবং চার্চকে আক্রমন করল"

জানিনা সংবাদটি কতটুকু সত্যি কিন্তু হিজবুত তাহরির এর মত স্বার্থান্বেষী কিছু গোষ্ঠীর কর্মকান্ডই বিশ্বজুড়ে মুসলমানদের এমন ইমেজ এনে দিচ্ছে। ওরা বাংলাদেশের এলাকায় এলাকায় প্রথম আলো প্রতিরোধ কমিটি তৈরি করছে এখন (সুত্র আমার দেশ)। এই রমজান মাসে দেশ দ্রব্যমুল্য, দুর্নীতি, বন্যা পুনর্বাসন ইত্যাদি নানা ইস্যুতে জর্জরিত থাকতে ওদের কাছে এই কার্টুন ইস্যু কেন বেশী গুরুত্বপুর্ণ হলো আপনারা নিজেই ভেবে দেখুন।

এদের কবল থেকে ইসলামকে রক্ষা করা অতীব জরুরী।

প্রথম প্রকাশ: সামহোয়ার ইন

বাংলাদেশে ইন্টারনেট সার্ভেইল্যানস এখন সময়ের ব্যাপার

বেশ কিছু উদ্বেগজনক সংবাদ পেলাম দেশ থেকে। আমার এক পরিচিতের বাড়ীতে RAB এসেছিল চেক করতে সে ভিওআইপির ব্যবসা করে কিনা তাই। আমার খটকা লেগেছিল কারন সে একজন সাধারন ইউজার, তার সাথে কেন এমন হবে?

আজ ই-বাংলাদেশেএ নিয়ে খবর এসেছে। এমন ঘটনা আরও হয়েছে। সাধারন ইউজারের বাসায় ভিওআইপি সংক্রান্ত কিছু না পেয়ে কম্পিউটার চেক করেছে -এম এস এন মেসেন্জার ও স্কাইপের কন্টাক্ট লিস্ট চেক করেছে। সন্দেহ হচ্ছে তারা নিজেও কি নিশ্চিত কিনা তারা কোথায় কি খুঁজতে এসেছে।

উর্ধতন এক বিটিআরসির কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে বিটিআরসি সাহায্য করছে RAB কে অবৈধ ভিওআইপি অপারেটরদের ধরতে। কিন্তু সাধারন ইউজারদের বাসায় কেন যাচ্ছে তারা তা সম্পর্কে তিনি কিছু বলতে পারেন নি।

কিন্তু ব্যাপারটি আসলে এত সহজ কিছু নয়। আসলে ভিওআইপির কথা বলে হয়ত ইন্টারনেট ইউজারদের কার্যকলাপ মনিটর করা হচ্ছে। বিটিআরসি বাংলাদেশের সব আইএসপির কাছে একটি চিঠি (BTRC/E&O/ISP-Gen.(302)/2007-1697) পাঠিয়েছে যেখানে তারা চেয়েছে:
* তারা কার কাছ থেকে কত ব্যান্ডউইদথ ব্যবহার করছে, চুক্তির কপি সহ সেসব তথ্য।
* কর্পোরেট/ডেডিকেটেড/শেয়ার্ড ক্লায়েন্টদের নাম, ঠিকানা ও আইপি
* পুরো ব্যন্ডউইদথ এবং প্রতিটি ক্লায়েন্টের অনলাইন এমআরটিজি ইউসেজ গ্রাফ (যার মাধ্যমে কে কোন সাইটে ব্রাউজ করেছে সব তথ্য জানা যাবে), ইউআরএল এড্রেস এবং প্রতিটি ইউজারের আইডি এবং পাসওয়ার্ড
* সব ইউজারের জন্যে পরিপূর্ণ সাবস্ক্রিপশন ফর্ম
* আইএসপিকে মানা করা হয়েছে এমন ইউজারদের কানেকশন না দিতে যারা ওই ব্যন্ডউইদ্থ অন্যান্য লোকেশনের ইউজারের কাছে অর্থের বিনিময়ে শেয়ার করে।
* আইএসপিকে বলা হয়েছে প্রতিটি ইউজারদের নাম ঠিকানা সংরক্ষন করতে (স্ক্রাচ কার্ডের ক্ষেত্র কি হবে বলেনি)।

উপরোক্ত বিষয়গুলো ১৫ দিনের মধ্যে না মানলে আইএসপির লাইসেন্স বাতিল করা হবে।

আশা করি আপনারা বুঝতে পারছেন কি ঘটতে যাচ্ছে। তারা আইএসপির মাধ্যমে প্রতিটি ইউজারদের তথ্য সংগ্রহ করবে, এমআরটিজি গ্রাফের ইআরএল, আইডি/পাসওয়ার্ড থাকলে যে কোন স্থান থেকে এইসব ইউজারদের ইন্টারনেট কার্যক্রম মনিটর করা যাবে। আপনার ঠিকানা থাকায় আপনি থাকবেন তাদের মনিটরিং এর মধ্যেই। আপনার ইমেইল পড়ে ব্যবসার গোপন তথ্য অন্যরা জেনে যাবে।

ই-বাংলাদেশে এক আইএসপি প্রভাইডার বলেছে এরকম ব্যক্তিগত স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ হলে এবং বাসায় সার্চ হলে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা ভয়ে ইন্টারনেট ব্যবহার বন্ধ করে দেবে। আইএসপিদের ব্যবসা গুটাতে হবে। ইন্টারনেট ব্যবহার করাটাই যেন একটি অপরাধ হয়ে যাচ্ছে কর্তৃপক্ষের কাছে।

এটি একটি বড় ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘন। বিটিআরসি আ্যাক্ট ২০০১ এর একটি সংশোধনী (৯৭ ধারা) অনুযায়ী আইন-শৃঙ্খলা বাহীনিকে সর্বময় ক্ষমতা দেয়া হয় আড়িপাতার জন্যে। এই সংশোধনীটি অবশ্য বিটিআরসির মুল উদ্দেশ্য টেলিযোগাযোগের নিরাপত্তা ও গোপনীয়তার নিশ্চয়তা প্রদানকে লঙ্ঘন করে (বিটিআরসি অ্যাক্ট ২০০১ প্যারা ৩০(১)(f)

গতকাল বিবিসির পরিক্রমা অনুষ্ঠানে এ খবরের সত্যতা স্বীকার করা হয়। আইএসপি অ্যাসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদকের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয় যে সরকার দেশের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের ডাটাবেজ এবং আইএসপির মাধ্যমে তাদের ইন্টারনেট ব্যবহার মনিটরের উদ্যোগ নিয়েছে। শুনুন পরিক্রমার রিপোর্টটি।

Get this widget | Track details | eSnips Social DNA

বাংলাদেশের সাধারন ইন্টারনেট ব্যবহারকারী হিসেবে এ ব্যাপারে আপনি কি অবস্থান নেবেন জানালে ভাল হয়।