Thursday, May 31, 2007

বাংলা লিন্কসমুহ

ব্লগিং প্লাটফর্ম, ডাইরেক্টরী এবং এগ্রেগেটর

* বাঁধ ভাঙার আওয়াজ- হাজারেরও বেশী বাংলা ব্লগ নিয়ে সর্ববৃহত এবং সবচেয়ে জনপ্রিয় বাংলা ব্লগিং প্লাটফর্ম

* এভারগ্রীন বাংলা ব্লগপেচালি আরো দুটি বাংলা ব্লগিং প্লাটফর্ম

* বাংলা ব্লগস্ - বাংলা ব্লগ ডাইরেক্টরী

* বাংলা ইউনিকোড ব্লগ - বাংলা ব্লগ এগ্রেগেটর

বাংলাদেশী ব্লগ:

* উত্স সন্ধানে * ...করি বাংলায় চিত্কার... * ছেঁড়া পাতায় কথামালা * বুঝি কম * আসিফ আহমেদ অনীকের বাংলা ব্লগ * অমি আজাদ * সসংকোচ প্রকাশের দুরন্ত সাহস * আমি এবং আমার পৃথিবী * পুড়ে ছাই ধ্বংসস্তুপ থেকে বেঁচে উঠি পুর্ণবার * রয়েসয়ে * নিরিখ বান্ধিলাম দুই নয়নে...... * বিবর্ণ আকাশ এবং আমি.... * ভয়েস অফ বাংলাদেশী ব্লগারস * এইটা তোমার গান * প্রাত্যহিক ভ্যাজর ভ্যাজর * কবিয়াল * অজ্ঞাতবাস * ধৃসর গোধুলী * সাধক শন্কু * বলো গো * খসড়া কবির খসড়া কবিতা * মোকাবেলা * খিচুড়ী ব্লগ * আড্ডা * আধুলি জমানোর ম্যাচবক্স * দিল কা লাড্ডু * অনন্ত ন্বপ্ন * ..খেরোখাতা.. * যাপিত চীবন * বাংলা ভাষী * সুহ্রদ সরকার
মাহবুব সুমন ও তার অগাবগা বচন

ভারতীয় ব্লগ:

* স্লোগান দিতে গিয়ে * আমার কিছু বক্কা * খোলা জানালা * বিবর্ণ কবিতা * জীবনানন্দ দাশের কবিত


বাংলায় বিবিধ টুলস

Sunday, May 27, 2007

একটি গ্রেফতারকৃত ল্যাপটপ এবং তা নিয়ে মুখরোচক কাহিনী

ব্লগার তাসনীম খলিল গ্রেফতার হওয়ার সময় তার ল্যাপটপ সিজ করা হয়েছিল। সেই ল্যাপটপে কি ছিল তা যৌথ বাহিনী প্রচার মাধ্যমকে না জানালেও সাপ্তাহিক জনতা (নাম প্রথম শুনলাম) এই নিয়ে একটি কাভার স্টোরী করে। (নতুন ধারার) দৈনিক আমাদের সময় আবার সাপ্তাহিক জনতার খবরটির একটি সংক্ষিপ্ত ভার্সন ছাপে। আপনারা পড়েই বুঝবেন যে কিছু ব্যক্তিগত ইমেইল থেকে শেখ হাসিনার ছেলে জয়কে জড়িয়ে একটি কনস্পিরেসী থিউরি খুঁজতেই ব্যস্ত। তবে চেষ্টাটির যুক্তিগত ভিত্তি কতটুকু ছিল তা নিন্মের বিষয়টি থেকেই প্রমান হয়।

পেপার থেকে ফান্ড রেইজিং পর্বটির উদ্ধৃতি:

"জনৈক আসিফ সালেহ খলিলকে লিখেন, "যে ফান্ড যোগার করেছি তা নিরাপদেই আছে। এখন কিভাবে তোমার হাতে পৌঁছাই তা জানাও। ৮মে তাসনিম লিখেছেন, তুমি ওয়েস্টার্ন ইউনিয়নের মাধ্যমে নাঈম মোহাইমেনের কাছে পাঠাতে পার। 'আই এম প্রিটি মাচ আন্ডার সার্ভিলেন্স'। আমি তহবিল পেলে মোহম্মদপুরের লোকদের হাতে পৌঁছে দেব।"

মানবাধিকার সংগঠন দৃষ্টিপাতের আসিফ সালেহ ও নাঈম মোহাইমেন আজ দৈনিক আমাদের সময়ে একটি প্রতিবাদলিপি পাঠালে ব্যাপারটি স্পষ্ট হয়।

২০০৭ সালের ১০ই এপ্রিল মধুপুরে নিহত আদিবাসী নেতা চলেশ রিছিলের জন্যে দৃষ্টিপাত তহবিল সংগ্রহের আবেদন জানায়। সংগৃহিত ২৫,০০০ টাকা চলেশ রিছিলের পরিবারের কাছে পাঠানোর জন্যে তাসনিমের সাথে যোগাযোগ করা হয়। আপনারা হয়ত ইতিমধ্যেই দেখছেন যে মধুপুরকে মোহাম্মদপুর বলে রিপোর্টটিকে অন্য উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়েছে।

এখন উপরের ঘটনার পরিপ্রক্ষিতে আমার কয়েকটি প্রশ্ন রয়েছে।

১) ল্যাপটপের তথ্যগুলো কি যৌথবাহিনীর নির্দেশে প্রকাশিত হয়েছে? হলে শুধু একটি পত্রিকাতে কেন?
২) যদি না হয় এবং এর বিষয়বস্তু কিছুটাও যদি সত্যিই হয় তবে এটি সামরিক গোপনীয় তদন্তের বিষয় তা বাইরে এল কি করে? মূল রিপোর্টে তারা ল্যাপটপের তথ্য পাবার কি সুত্র দিয়েছেন?
৩) তাহলে কি সজীব জয়ের সাথে ইমেইলে যোগাযোগ ই তাসনিম কে গ্রফতারের কারন?
৪) কয়েকটি ইমেইলের কথার সুত্র খোঁজা হয়েছে কল্পনার ফানুশ মেলে। একটি দায়িত্বপুর্ন ইনভেস্টিগটিভ রিপোর্টে বিষয়গুলোর ফ্যাক্ট চেক করা দরকার আলোচিত ব্যক্তিদের সাথে ব্যক্তিগত যোগাযোগ করে এবং রিপোর্টে তাদের প্রতিক্রিয়া উল্লেখ করা দরকার। নাহলেতো সেটা একপেশে প্রপাগান্ডা হয়ে যায়।

তাই সাপ্তাহিক জনতার রিপোর্টটি বিশেষ কোন উদ্দেশ্যে প্রপাগান্ডাই ছিল প্রতীয়মান হয়।

Tuesday, May 22, 2007

পেজফ্লেইকস সম্বন্ধে....

পেজফ্লেইকস হচ্ছে একটি ইন্টারনেট স্টার্ট পেজ যা অনেকটা মাই ইয়াহু, গুগল পার্সোনালাইজড হোমপেজ এবং মাইক্রোসফ্ট লাইভ এর মত। এটিতে আপনার পছন্দমত মডুলস বা ফ্লেকস যোগ করতে পারবেন। আপনাদের সবার জন্যে রয়েছে এতে মজার মজার ফ্লেকস। টেক্সট, ভিডিও, টিভি, রেডিও, আর এস এস ফিড, গুগল মেইল চেকার, ক্যালকুলেটর, ঘড়ি- কি নেই এতে। সবচেয়ে ভাল ব্যাপার হচ্ছে এটির বাংলা ভার্সন রয়েছে। আপনারা আপনার পাতাটি অন্যের সাথে শেয়ার করতে পারবেন।

এর চিফ টেকনোলজি অফিসার হচ্ছে সামহোয়ারইনের ওমর আল জাবির মিশো। ডেভেলপার টিমে বেশ কয়েকজন বাংলাদেশী রয়েছে এবং বর্তমানে ১৮জন বাংলাদেশী এতে কাজ করছে। ২০০৫ সালে এটি শুরু হয় এবং পেজফ্লেক্স লিমিটেড জার্মানী থেকে এটি পরিচালিত হয়।

আপনার ব্রাউজারে এটি সহজেই সেট করতে পারবেন। মজিলা ফায়ারফক্সে :
Tools--> Options-->Homepage বক্সে
অথবা ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারে:
Tools--> InternetOptions-->Homepage বক্সে
যোগ করুনhttp://www.pageflakes.com/।

একটি স্টার্ট পেজ কেমন হতে পারে দেখার জন্য আমার পেজফ্লেকস পাতাটি দেখতে পারেন।

Monday, May 21, 2007

জার্মানীতে ড: মুহম্মদ ইউনুস

আজকে বার্লিনে জার্মান প্রবাসী বাংলাদেশীরা নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ড: মুহম্মদ ইউনুসকে একটি সংবর্ধনা দেয়। জার্মানীর অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল এসপিডির অফিস উইলি-ব্রান্ডট হাউজে রাত ৭টার সময় অনুষ্ঠানটি হয়।

ড: মুহম্মদ ইউনুস এমাসে এ নিয়ে দুবার এদেশে আসলেন। মূল কারন হচ্ছে জুন মাসে অনুষ্ঠিতব্য এবারের জি এইট সামিটের চেয়ারম্যান হিসাবে জার্মানীর চ্যনসেলর আন্গেলা মেরকেল আফ্রিকার নারীদের উন্নয়নে কিছু করতে চাচ্ছেন। ড: ইউনুস যেহেতু দরিদ্র নারীদের নিয়ে কাজ করেছেন সে জন্যেই তার সাহায্য চেয়েছেন তিনি এবং এর প্রাক মিটিংগুলোতে ইউনুস থাকছেন।

প্রায় শ'খানেক বাঙালিদের মাঝে ইউনুস তার স্বাভাবিক ঢংয়ের বক্তৃতা দিলেন বাংলায়। আলোচনা করলেন তার কর্ম, গ্রামীন ব্যান্ক প্রসঙে, নোবেল প্রাইজ পাওয়ার অনুভুতি প্রসঙে। এগুলো আগেই পড়া বা শোনা ছিল। নতুনের মধ্যে - ভিক্ষুকদের ঋণ ছিল যে কোনো মানুষই উদ্দোক্তা হতে পারে এই সংক্রান্ত একটি এক্সপেরিমেন্ট যা পরে সফল হয়।

আমি বসে ছিলাম প্রশ্নোত্তর পর্বের জন্য। সমসাময়িক প্রসঙগুলো চলে এল। উনি রাজনীতিতে আসার চেষ্টা কেন ছেড়ে দিলেন সে প্রসঙ এড়িয়ে গেলেন- 'আমি আমার চিঠিতেই সব বলেছি' এই বলে। ২২শে জানুয়ারীর প্রহসনমূলক নির্বাচনে কেন সায় ছিল তার জবাবে বললেন উনি চাচ্ছিলেন দেশে শান্ত আসুক, রক্তপাত বন্ধ হোক। নির্বাচন না হলে পরিস্থিতি সেসময় আরও মারাত্মক আকার ধারন করতে পারত বলে তখন তার মনে হয়েছিল।

গ্রামীন ব্যান্কের সুদের চড়া হারের অভিযোগ খন্ডালেন এই ভাবে:- সুদের হার ওয়েবসাইটে দেয়া আছে এবং পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে জানানো হয়েছে। ৩০%, ৫০% এরুপ ফিগারগুলো শুধুই রটনা। গ্রামীন ব্যান্কে ৪ ধরনের ঋণপ্রকল্প রয়েছে। এই ঋণগুলো দেয়ার জন্য মুলধন সংগ্রহ করা হয় ঋণগ্রহীতাদেরই ডিপোজিট থেকে। ঋণগ্রহীতাদের ডিপোজিটের জন্যে ৮-১২ % স্কিমভেদে দেয়া হয়। অর্থাৎ মুলধনের মুল্য গড়ে ১০%। নিন্মলিখিত প্রকল্পগুলোতে ঋন দেয় গ্রামীন ব্যান্ক:

১) বাড়ীর জন্য ঋণ: - ৭% সুদ (মুলধনের গড় মুল্য থেকে কম মুল্য)
২) শিক্ষা ঋণ: ছাত্রাবস্থায় কোন সুদ নেই। এর পরে ৫% সুদ (মুলধনের গড় মুল্য থেকে অনেক কম মুল্য)
৩) ভিক্ষুক লোন: সুদমুক্ত
৪) সাধারন ঋণ: সর্বাধিক সুদের হার ২০% (মুলধনের সংগ্রহের গড় মুল্য থেকে ১০% বেশী)

ড: ইউনুসের কথা হচ্ছে এই ১০% বেশী মুল্য পূর্বের তিনটি ঋণের খরচকে কাভার করে। এবং এই সুদের হার নির্ধারন করে ব্যন্কের মালিক - এর ঋনগ্রহিতা মহিলারা একটি বোর্ডের মাধ্যমে। ঋণের সুদের হার কমালে সন্চয়ের উপর তারা কম আয় পাবে - তাই তারা ২০% সুদেই সন্তুষ্ট।

গ্রামীন ব্যন্কের কিছু কর্মচারীর ভয়ভীতি প্রদর্শন ও দুর্নিতীর অভিযোগ সম্পর্কে তিনি বললেন হয়ত বিচ্ছিন্ন কোন ঘটনা ঘটতে পারে আর এটি যেহেতু সমাজেরই অংশ তাই সামাজিক দুর্নীতির কিছু প্রভাব হয়ত কোথাও পড়তে পারে। গ্রামীন ব্যান্ক চেষ্টা করছে ঋণ সংগ্রহন ও বিতরন পদ্ধতি আরও আধুনিক করতে।

বার্লিন সিটি কাউন্সিল মেম্বার পশ্চিম বঙের ভাদুরী সাহেবের প্রশ্ন ছিল গ্রামীন ব্যান্ক রাজনীতিবিদ বা ধর্মীয় সংস্থা থেকে কিরকম প্রতিরোধ বা সাহায্য পেয়ে এসেছে। ড: ইউনুস বললেন যে নতুন কিছু ধারনা হলে সহজে লোকে মানতে চায়না। গ্রামীন ব্যান্কের বিরুদ্ধেও ভয়ভীতি ও অসহযোগ হয়েছে। আমি কখনও অভিহিত হয়েছি পুঁজিবাদের দালাল - সিআইয়ের এজেন্ট হিসাবে। আবার কখনও কমিউনিষ্ট বা ধর্মের বিরুদ্ধে (কারন নারীদের প্রাধিকার দিয়েছি)। কিন্তু গ্রামীন ব্যান্ক সবসময়েই বিতর্কের উর্দ্ধে থাকতে চেয়েছে। কোন গ্রামে অনভিপ্রত হলে গ্রামীন ব্যন্ক সেখান থেকে সরে এসেছে। কিন্তু সাধারন মানুষই সমস্যার সমাধান করে তাকে আবার ফিরিয়ে নিয়েছে। কারন মানুষের প্রয়োজনেই গ্রামীন ব্যান্ক- নিজের প্রয়োজনে নয়।

একজন প্রশ্নকর্তা প্রসঙক্রমে জানালেন গত ৮ই মে হামবুর্গে কোন জার্মান সংস্থা আয়োজিত তার সংবর্ধনার টিকিট ছিল ৮০০ ইউরো। তাই তখন তারা ইউনুসের সাথে সাক্ষাৎ করতে পারেননি। আজ সুযোগটি পেয়েছেন।

বন থেকে ব্লগার মাসকাওয়াথ আহসান এসেছিলেন ডয়েশে ভেলের জন্য ড: ইউনুসের সাক্ষাৎকার নিতে। বেশি কথা হয়নি- যাবার সময় বলে গেলেন হাজার দুয়ারীর জন্য একটি লেখা দিতে।

এই হল আজকে আমার ইউনুস দর্শন।