Saturday, November 18, 2006

আমি বলি ঠিক আছে

সেদিন গেলাম বার্লিনের ভারতীয় দুতাবাস ও ডয়েশে ভেলে আয়োজিত একটি ক্লাসিকাল কনসার্ট অনুষ্ঠানে। অন্যান্য পশ্চিমা দেশগুলোর মতো এদেশেও ভারত সম্পর্কে একটি ইলিউশন কাজ করে।

ডয়েশে সিম্ফনি অর্কেষ্ট্রা কিছুদিন আগে ভারতে গিয়ে ওদেশের শাস্ত্রীয় সঙীত সম্পর্কে ধারনা নিয়ে এসেছ। তারা দুই সংস্কৃতির মধ্যে সেতু বন্ধনের ডাক দিয়ে অনুষ্ঠানটিতে পাশ্চাত্য বাদ্যযন্ত্র দিয়ে ভারতীয় ধুন তোলার চেষ্টা করলো। চেষ্টা করলো বললাম কারন ব্যাপারটি অনেক দর্শকের কাছেই শিল্পোত্তীর্ন হয়নি। কম্পোজার সেলসির নোটে ভায়োলিন আর চেলো দিয়ে মন্দিরের শাঁখের আওয়াজ! বড্ড বেসুরো আর উচচকিত ঠেকেছে। তবে কম্পোজার সন্দীপ ভগবতী ও জন মায়ারের সুরে ভায়োলিনে মেডিটেশন ও ক্লারিনেটে রাগ সঙীত তোলার চেষ্টা কিছু যায়গায় ভাল লেগেছে।

এসব শুনতে শুনতে মনে হচ্ছিল সঙীতের সাথে বাদ্য যন্ত্রের গভীর সম্পর্ক আছে। এদুয়ের সহাবস্থান যেখানে অনুপস্থিত সেখানে সঙীতের সেই মাধুর্য কি পাওয়া যায়? অথচ পনিডত রবি শনকর, আনন্দ শনকর পশ্চিমা যন্ত্রের সংযোগে অনেক ফিউশন সঙীত করেছেন। সেগুলো ভালো হয়েছে কারন হয়ত তাদের দুই ধাঁচের সঙীতেই বেশ দখল আছে।শেষে মোজার্ট তার স্বরুপে ফিরে এসে দর্শকদের কিছুটা হলেও মোহিত করলেন। বধু বলছিল পাশ থেকে যদি মোজার্ট এর সুর তোলা হয় সেতারে তবে কেমন হবে? নিশ্চয়ই এরকম অদভুত কিছু হবে ।

তবে আমি এক্সপেরিমেন্টের বিরোধী নই । হোক এরকম আরও সেতু বন্ধন । উঠুক বাউলের একতারের সুর 'চেলো'তে। অথবা বাখ মোজার্ট সেতারে। 'জাত যায় জাত যায় লোকে বলে, আমি বলি ঠিক আছে'।