Sunday, July 30, 2006

অনলাইনে ভোটার লিস্ট

সুজন -সুশাষনের জন্যে নাগরিক 2000 সনে প্রনীত 64 জেলার ভোটার তালিকা অনলাইনে দেয়ার উদ্দ্যোগ নিয়েছিল । এখন পর্যন্ত 25টি জেলার করতে পেরেছে ।

আমি আশা করব নতুন ভোটার লিস্টটা সরকার অনলাইনে এক্সেসিবল করে দেবে ট্রানসপারেনসির জন্যে ।

Wednesday, July 26, 2006

জবাবদিহিতা

Accountability বা জবাবদিহিতা অর্থ হচ্ছে দায়িত্ববোধ, অর্থাৎ নিজস্ব কোন কাজ সম্পর্কে ব্যাখা দেয়া বা ভাল মন্দের দায়িত্ব স্বীকার করা । কিন্তু আমাদের দেশের সামাজিক ও রাজনৈতিক অঙনে এই শব্দটির গুরুত্ব কমে যাচ্ছে । অথচ প্রতিনিধিত্বমুলক গনতান্ত্রিক ব্যবস্থায় জনপ্রতিনিধি (দল বা ব্যক্তি) জনগনের কাছে জবাবদিহী করতে বাধ্য ।

বাংলাদেশে আজ 'জোর যার মুল্লুক তার' পরিস্থিতির সৃস্টি করা হচ্ছে । বিগত দুই দশকে বহু জনপ্রতিনিধীর ও সরকারী আমলাদের অপরাধ ও দুর্নীতি ঢাকতে গিয়ে নিত্য নতুন আইন সৃস্টি করা হয়েছে । যেমন এই বছর 35 বিলিয়ন টাকা (500 মিলিয়ন ডলার) কালো টাকা সাদা করার সুবিধা দেয়া হয়েছে মাত্র 7.5% প্রদান করার বিনিময়ে । নিয়ম অনুযায়ী এই টাকার সোর্স গোপন করা যাবে অর্থাত জবাবদিহীতার মৃত্যু ঘটানো হলো । সৎ পথে কামালে 25% ট্যাক্স দিতে হতো আর জবাবও দিতে হতো কিভাবে টাকা কামিয়েছে ।

এভাবে পদে পদে জবাবদিহিতার নিয়মগুলো তুলে দিয়ে সাম্রাজ্যবাদ ও লুটপাটের সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে ।

এখন আশা যাক নির্বচনী মুলোগুলোর কথায়। বিএনপির যে সব নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিগুলো পালিত হয়নি সেগুলো হচ্ছে:
1) বিচার বিভাগ পৃথকীকরন ।
2) রেডিও টিভির স্বায়ত্বশাষন
3) স্বাধীন মানবাধিকার কমিশন
4) ন্যায়পাল নিয়োগ
5) বিশেষ ক্ষমতা আইন বাতিল

সরকারের আর মাস কয়েক বাকি । এই সরকার যাবে আরেক সরকার আসবে । নির্বাচনী মুলো গুলো আগের মতো ঝুলতেই থাকবে । বেশীর ভাগ জনগন কি সারাজীবন জনপ্রতিনিধিদের কাছে জবাব না চেয়ে চুপ করেই থাকবে? উপযুক্ত প্রার্থিকে বিবেচনা না করে মার্কা দেখে ভোট দেয়ার দিন বদল করতে হবে, এটা মূর্খতারই সামিল ।

Sunday, July 23, 2006

ধর্ম না জাতীয়তা কোনটি আগে?

একটি খুবই ইন্টারেস্টিং সার্ভের রেজালট (পিউ রিসার্চ সেন্টার) শেয়ার করছি। বিষয়বস্তু হচ্ছে মানুষের পরিচয়ে কোন বিষয়টি গুরুত্বপুর্ন, ধর্ম না জাতীয়তা । মুসলমান এবং ক্রিশ্চিয়ান দুই জনগোষ্ঠীর মধ্যেই এটি পরিচালনা করা হয়েছিল ।

সবচেয়ে বেশী মুসলিম আইডেন্টিটি প্রেফার করে দ্্বি-জাতিতত্তের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত পাকিস্তানের মুসলমানরা (87%) । মুসলমান মেজরীটি দেশেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কম গনতান্ত্রিক ইন্দোনেশিয়ার 36% লোকের কাছে মুসলিম আইডেন্টিটি গুরুত্বপুর্ন । আর একই দেশের39% লোকের কাছে জাতীয়তা গুরুত্বপুর্ন।

উল্লেখযোগ্য হচ্ছে সব দেশের ক্রিশ্চিয়ানদের মধ্যেই জাতীয়তা ধর্মের থেকে গুরুত্বপুর্ন ।

এখন বাংলাদেশীদের কাছে কোনটি গুরুত্বপুর্ন? বাংলাদেশ কোনটি হতে চায় সমস্যা সনকুল পাকিস্তান না উন্নয়নশীল ইন্দোনেশিয়া?

Thursday, July 20, 2006

সুখী হওয়ার উপায়

পাচটি বিষয় স্মরন রাখলেই আমরা সুখী হতে পারি:

1) হৃদয় থেকে ঘৃনাগুলো মুছে ফেলুন ।
2) মাথা থেকে দুশ্চিন্তাগুলো ঝেড়ে ফেলুন ।
3) লোক দেখানো মনোভাব বাদ দিয়ে সহজ জীবন যাপন করুন ।
4) বেশী দেয়ার চেষ্টা করূন ।
5) কম আশা করুন তাহলে প্রতিটি ছোট খাট প্রাপ্তি আপনার জীবনে অনেক আনন্দ নিয়ে আসবে ।

Wednesday, July 19, 2006

স্কুলে আজ কি শিখেছ?









স্কুলে আজ কি শিখেছ?
আমার সোনা বাবা ।
স্কুলে আজ কি শিখেছ?
আমার ছোট বাবা ।

আমি শিখেছি সরকার কখনও মিথ্যা বলেনা
আমি শিখেছি যোদ্ধারা কখনও মরেনা
আমি শিখেছি সবাই স্বাধীন ।
হ্যা, এটাই শিক্ষক আমাকে বলেছেন
স্কুলে আমি এটাই শিখেছি বাবা আজকের দিন ।

স্কুলে আজ কি শিখেছ?
আমার সোনা বাবা ।
স্কুলে আজ কি শিখেছ?
আমার ছোট বাবা ।

আমি শিখেছি পুলিশ বন্ধু জনগনের
আমি শিখেছি হাত অনেক বড় আইনের
আমি শিখেছি খুনীরা মরেই প্রায়শ্চিত্ত করে
যদিও খুনি চিনতে ভুল হতেই পারে ।
হ্যা, এটাই শিক্ষক আমাকে বলেছেন
স্কুলে আমি এটাই শিখেছি বাবা আজকের দিন ।

স্কুলে আজ কি শিখেছ?
আমার সোনা বাবা ।
স্কুলে আজ কি শিখেছ?
আমার ছোট বাবা ।

আমি শিখেছি সরকারকে ক্ষমতাবান হতে হয়
এটি সবসময়ই সঠিক, কখনই ভুল নয়
আমাদের নেতারা খুব ভাল মানুষ আর
তাদের আমরা নির্বাচিত করি বারেবার

স্কুলে আজ কি শিখেছ?
আমার সোনা বাবা ।
স্কুলে আজ কি শিখেছ?
আমার ছোট বাবা ।

আমি শিখেছি যে যুদ্ধ এতটা খারাপ নয়
আমি শিখেছি যুদ্ধের ইতিহাস গৌরবময়
আমরা করেছি যুদ্ধ জার্মানী ও ইরাকে
কোন দিন হয়ত দেবে সুযোগ আমাকে

(পিট সিগারের গানের অনুবাদ)

Monday, July 17, 2006

নিরাপরাধকেও মারো

নিরাপরাধকেও মারো
কারন তারাও হতে পারে টেররিস্ট ।

দুর্বলতা দেখিও না
দয়ালু হয়োনা
সংবেদনশীল হয়ো না
সাহায্যের হাত বাড়িও না
কিছুই গায়ে লাগিও না, কারন
নিজেকে নিয়ে ভাবার সময় কমে যাবে ।

বিশ্বাস করো
যুদ্ধই শান্তি,
অজ্ঞানতাই শক্তি ।

(ইংরেজী থেকে অনুবাদ
মূল: লীলা ফারজামি - ইরানী কবি )

Monday, July 10, 2006

বিশ্বকাপ ফাইনাল দেখার অভিজ্ঞতা

বিশ্বকাপ ফাইনাল দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল বার্লিনের ফ্যানমাইলেতে দশ লাখ (কতৃপক্ষের ভাষ্য, আমার মতে এত হবে না) লোকের সাথে ।

ফাইনালের টিকেট পাননি তো কি হয়েছে? ২০টির মত বড় পর্দাসহ প্রায় ৩ কিমি লম্বা এই ফ্যানমাইলেতে বিশ্বের তাবৎ দেশীয় ফ্যানদের সাথে খেলা দেখার মজাই আলাদা । সাথে ছিল খাদ্য ও বিনোদনের নানা আয়োজন । দেশের পহেলা বৈশাখের মত ফেস্টিভ আমেজ । বিভিন্ন দেশের জার্সি গায়ে, মুখে রং মেখে, বিচিত্র ভেপু বাজিয়ে উৎসবে সবার অংশগ্রহন ছিল এর প্রান। খেলায় সবার দারূূন মনযোগ । জিদানের লালকার্ড পর্ব রিপ্লে হওয়ার পর সমন্বিত বিস্ময় , প্রতিটি গোলের উচ্ছাস ; এক কথায় অবিশ্বাস্য । খেলা শেষের চুড়ান্ত উচ্ছাস ও লেজার শো অনেকদিন মনে থাকবে ।

বাড়ী ফেরার পথে বিপত্তি । অনেক দুর হেটে S Bahn ও U Bahnএ ভিটেনবার্গপ্লাটজ আসলাম । তারপর অনির্দিষ্টকালের জন্যে অপেক্ষা আর টেনশন । রাত একটা বাজে অথচ বাস আসছেনা কারন কু'দাম জুড়ে গাড়ি জট । সবাই এদিকে গাড়ি নিয়ে আসছে আর হর্ন বাজাচ্ছে । জার্মান বলেই মনে হলো এদেরকে । সঙিনী বললেন ফ্রানস জিতলেও এরকমই হত কারন তাদের আসলে ফুর্তি করার ছুতো দরকার ছিল । কয়েকমাইল হেটে অগত্যা ট্যাক্সির সন্ধান ও বাড়ি ফেরা।

হুমায়ুন আহমেদ লিখেছেন যে মানুষ চোখ দিয়ে যে সৌন্দর্য দেখে তার কিছু অংশ মাত্রই ক্যামেরা দিয়ে ধরা যায় । আশা করছি আমার তোলা ছবিগুলোতে হয়ত উৎসবের কিছুটা আমেজ পাওয়া যাবে ।

Monday, July 03, 2006

বকসিস কালচার ও আমাদের জাতিগত গর্বের প্রস্থান

স্বপ্নচারী জিগ্গেস করেছেন (http://tinyurl.com/mroq6) সিএনজি ড্রাইভাররা কেন ভিক্ষা করে?

আসলে ভিক্ষা কে করছেনা? পরোক্ষভাবে ভিক্ষা করাটা অমাদের সমাজে একটা প্রতিষ্ঠিত কালচার হয়ে দাড়িয়েছে ।

পোষ্ট অফিসে টিকিটের জন্যে টাকা দিয়েছেন তো ভাংতি চেয়ে রেখে দেয়া হলো । রিক্সা বা সি এন জি অনায়াসে বেশী চাচ্ছে । কাউকে দিয়ে কিছু কাজ করাবেন আসলের সাথে সাথে বকসিস চাই । সরকারী কোন অফিসে যাচ্ছেন বকসিস (ঘুষ) ছাড়া আপনার কাজই হবে না ।

মজার ব্যপার হলো এই বকসিস কালচার সবাই কিন্তু যায়েজ করে নিয়েছে । সি এন জি ড্রাইভার কিন্তু তার টুপি দাড়ি খুব ভাল ভাবেই ডিসপ্লে করছে । রোজার দিনে ঘুষ কিন্তু আফিসের কেরানী নিজের হাতে নেবে না । বলবে ড্রয়ারে রেখে যান ।

আসলে আমাদের জাতিগত গর্ব মনে হয় কমে যেতে শুরু করেছে । এমন একদিন ছিল যখন একজন অপরের কাছে মাথা পাতার চেয়ে না খেয়ে মরে যাওয়া শ্রেয় বলে মনে করত ।

যেখানে পশ্চিমা সমাজে unattended পন্য দোকানে বিক্রি হয় মানুষের নৈতিকতা বোধকে পুজি করে সেখানে আমরা ক্রমশই নিচের দিকে নামছি । আমাদের সমাজে এর পরিবর্তন কবে হবে কিভাবে হবে কিছুই বুঝতে পারছিনা ।

কোথাও পড়েছিলাম যে দারিদ্রতা মানুষের নীতিবোধকে ভেঙে ফেলতে বাধ্য করে । আসলেই কি কথাটি সত্য?